চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শুরুর আশা রেলমন্ত্রীর

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৩৭, শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২, ৩১ আষাঢ় ১৪২৯

চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

রেলমন্ত্রী বলেন, বড় ধরনের একটি বাধা ছিল ব্রিজের ওপরের কাজ। শনিবার সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক আছে। আশা করছি এ মাসে কিংবা এই সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিজের ওপর কাজ করার অনুমতি পাবো।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মুন্সিগঞ্জে মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঢাকা-ভাঙ্গা-যশোর রেল সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ শতাংশ এগিয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে। প্রকল্পটি সময়মতো বাস্তবায়ন করতে তিনভাগে কাজগুলো করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সে পরিকল্পনায় ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত একটি অংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত একটি অংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত আরেকটি অংশ।’

তিনি আরও বলেন, এরমধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৯১ শতাংশ। পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৩ সালের জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করার।

এদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রেল সংযোগ প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ছয়মাস সময় লাগবে। এ সময় আমরা মনিটর করবো ভাইব্রেশনে (সড়কপথে যান চলালের) কোনো প্রভাব পড়ে কি-না। এজন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিয়োগ করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে নকশা অনুযায়ী ভাইব্রেশনের কোনো প্রভাব থাকবে না। পরীক্ষা করে আমরা দেখবো যে আসলে কোনো প্রভাব আছে কি-না।

সেতুতে রেলের কাজ চলার সময় সড়কপথে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি-না জানতে চাইলে এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, সেটা নেই। তবে কতগুলো অপশন থাকতে পারে, যদি ভাইব্রেশন বেশি হয় প্রয়োজন হলে গাড়ির গতিসীমা স্লো করা যেতে পারে। বিষয়টি পরামর্শক দলের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারণ করা হবে।

রেলমন্ত্রীর পরিদর্শনে অন্যদের মধ্যে রেলওয়ের ডিজি ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবএল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

Share This Article