৪০ সেকেন্ডে যাত্রী পার, বেনাপোল বন্দরে বসল প্রথম ই-গেট

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্টে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো স্থাপিত হয়েছে ইলেকট্রনিক গেট। প্রথম পর্যায়ে ৬টি গেট করা হয়েছে। ভারতে প্রবেশের জন্য তিনটি ও ভারত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীদের জন্য তিনটি করে এই গেট নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই গেট বাড়ানো হবে।
স্থলবন্দর হিসেবে দেশের মধ্যে এই প্রথম যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টের ইমিগ্রেশনে উদ্বোধন করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক গেট। এতে করে ভারতে যাতায়াতকারী পাসপোর্টযাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে। যাত্রীরা সহজেই গেটে পাসপোর্ট শো করলে অটোমেটিকভাবে গেট খুলে যাবে। এতে যাত্রী প্রতি সময় লাগবে মাত্র ৪০ সেকেন্ড। আগে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন করতে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগত। পাসপোর্টবিহীন কেউ ওই গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আগামী শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ইলেকট্রনিক গেটের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ই-গেট উদ্বোধনের পর বিকেল সাড়ে ৪টায় বেনাপোল ফুটবল মাঠে এক বিশাল সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারত-বাংলাদেশের বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ রিট্রেট অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, দেশের প্রথম স্থলবন্দর হিসেবে বেনাপোলে প্রথম ইলেকট্রনিক গেটের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গেটে যাত্রীরা তাদের পাসপোর্ট শো করলেই অটোমেটিক গেটটি খুলে যাবে। একজনের পাসপোর্ট আরেকজন শো করলে গেটটি খুলবে না। এতে করে যাত্রীরা আরো সহজে ইমিগ্রেশনের কাজ করতে পারবেন। মাত্র ৪০ সেকেন্ড সময় লাগবে এ কাজ করতে।
তিন বলেন, বেনাপোল দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৭ হাজার পাসপোর্টযাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকেন। এই গেট উদ্বোধন হলে আমাদের কাজও সহজ হয়ে যাবে। আমরা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছি।