পলাতক জঙ্গিদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৩৮, বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩, ১৬ ফাল্গুন ১৪২৯
  • জঙ্গি উত্থান ও তৎপরতা রোধে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।

রাজধানী ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালানো জঙ্গিদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেছেন, আদালত চত্বর থেকে পালানো জঙ্গিদের ধরা যাচ্ছে না– বিষয়টি এমন নয়। আমরা অনেক জঙ্গিকে ধরেছি। অনেক জঙ্গিকে খুঁজে বের করেছি। যারা পালিয়েছে, তাদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আমরা তাদের ধরে ফেলব।

আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’র অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি উত্থান ও তৎপরতা রোধে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। যখন যে তথ্য তারা পাচ্ছে, সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করে নিঃশেষ করতে পারিনি। তবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমাদের নিরাপত্তা সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ-র‍্যাব ভালো কাজ করছে বলেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। 

সদ্যসমাপ্ত অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে পাঠানো উড়ো চিঠি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এমন অনেক হুমকি আসে। আমরা সবকিছু শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত হয়নি। সবাই যে যার মতো কাজ করছে। উত্তপ্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশে যখন নির্বাচন আসে, তখন সব রাজনৈতিক দল মাঠে থাকে। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক দল কর্মতৎপর হয়। তারা নিজস্ব কথা বলার চেষ্টা করে। যুগ যুগ ধরে এ অবস্থা চলে আসছে।

কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ পেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা সরকারকে একটি প্রস্তাব দিয়েছি। সেটি বিবেচনায় আছে। আশা করছি, শিগগিরই আমরা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব। তখন জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে।

কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগ ও গৌরবময় অবদানকে স্মরণ করে প্রতিবছর ১ মার্চ দেশব্যাপী পুলিশের সকল ইউনিটে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে দিনটি পালন করে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট পুলিশ লাইন্সে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি মৃত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সন্তানদের পড়ালেখাসহ যে কোনো প্রয়োজনে আমরা সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। সভার শুরুতে বিভিন্ন সময় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

Share This Article


শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে

পুলিশকে মেরে যারা ঝুলিয়ে রেখেছিল সবার পরিচয় পেয়েছি: হারুন

‘ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি’

সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ২০১ মামলায় গ্রেপ্তার ২২০৯

মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী

ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পোশাক কারখানা খুলছে আজ

দূরপাল্লার বাস চলবে, ট্রেন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই

আজ খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস

যেসব বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

কোটা সংস্কারের দাবি যৌক্তিক: আরেফিন সিদ্দিক

৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি বিটিভির আগুন