বিএনপির আন্দোলন: সাড়া জাগাতে না পারায় তৃণমূলে উদ্দীপনায় ভাটা!

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গেল বছরের আগস্ট থেকে সরকার পতনসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আন্দোলন ঘিরে শুরুতে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে উদ্দীপনা দেখা গেলেও ধীরে ধীরে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
মূলত আন্দোলন কর্মসূচিতে আশানুরূপ জনসম্পৃক্ততা না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের কিছু নেতার। এছাড়া কেন্দ্রের ‘নীরব যাত্রা’ আর ‘ধীরে চলো’ নীতিও তৃণমূলে ভাটা পড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।
এরই মধ্যে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দীপনায় ভাটা পড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যেও এসেছে। তবে বিষয়টি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা; যদিও সম্প্রতি ঢাকায় এক সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা ধীরে ধীরে চলছি’।
বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব বিভক্তি আর দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ছে তৃণমূলে। যার ফলে আন্দোলনে এখনও বড় কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি দলটি।
সমালোচকরা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে গণসমাবেশ করতে না পারা এবং একে ঘিরে সৃষ্ট ঘটনা বিএনপিকে অনেকটা ব্যাকফুটেই নিয়ে গেছে। আন্দোলন বেগবান করতে না পারার ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি ঢাকার দুই মহানগর বিএনপি নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন আছে অনেকের।
বিশ্লেষকরা বলেন, লক্ষ্যপূরণের জন্য খুব বেশি সময় আর পাবে না বিএনপি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হলে অক্টোবরের আগেই বিএনপিকে যা করার করতে হবে। সে অনুযায়ী বিএনপির হাতে সাত-আট মাস আছে। তবে প্রকৃত হিসাবে সময় আরও কম। কারণ মার্চে রমজান শুরু হলে আন্দোলনের গতি কমবে। এছাড়া জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে না পারলেও জোরালো আন্দোলন করতে পারবে না বলে মনে করেন তারা।