কূটনীতিকদের আর্জেন্টিনা যেতে ভিসা লাগবে না

কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের আর্জেন্টিনা যেতে কোনো ভিসা লাগবে না।
দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বাংলাদেশে চালু হলো আর্জেন্টিনার দূতাবাস। আর এর মধ্য দিয়ে দু’দেশের জনগণের ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরালো হবে বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরোর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এই বিষয়ে চুক্তি সই হয়।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আরও তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
এর আওতায় ফুটবলাররা আর্জেন্টিনায় গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এছাড়া দু’দেশের কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির মধ্যে সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ চলবে।
বৈঠক শেষে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বলেন, ‘মেসির প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা দেখে আমি বিমোহিত। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে দু’দেদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে হবে।’
এরআগে, বিকেলে রাজধানীর বনানীতে দেশটির দূতাবাস উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন ফুটবল সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন ফুটবল সমর্থকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। দূতাবাসের কাজ পুনরায় শুরুর মধ্যদিয়ে শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, দু’দেশের জনগণের ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপর্ণ সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।’
দূতাবাস চালুর বিষয়টিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুই দেশের জনগণের আবেগের মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘স্থিতিশীল সরকার এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিই আর্জেন্টিনার মতো দেশকে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে আগ্রহী করেছে। কূটনৈতিক আলোচনা শুরুর মাত্র তিন মাসের মধ্যে দূতাবাস পুনঃস্থাপন করলো আর্জেন্টিনা। এই দূতাবাস উদ্বোধন শুধু কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নই নয়, এটা দুেই দেশের জনগণের এক আবেগের মুহূর্ত।’
পরে দূতাবাস উদ্বোধনের সময় আর্জেন্টিনার পতাকা সংবলিত ফিতা কেটে নিজের বুক পকেটে যত্ন করে রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এসময় সান্তিয়েগো সেই ফিতাকে আরও টুকরো করে উপস্থিত বাঙালিদের উপহার দেন।