নির্বাচনে সব দলকে চায় আওয়ামী লীগ: পর্যবেক্ষকদের তথ্যমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২৯, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১৩ ফাল্গুন ১৪২৯
  • দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর বৈঠক।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিক। জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আগামীর সরকার নির্বাচিত করুক। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন থাকে সেটি অবশ্যই আমরা করবো।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে তথ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে বৈঠকের জন্য এসেছিলেন। আপনারা জানেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ১০৮টি সংগঠন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। তার মধ্যে ৫১টি সংগঠনের মোর্চা হচ্ছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। তারা আমার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। 

তারাও বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ তারাও চান। যেখানে জনগণ উৎসাহ নিয়ে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করবে। এ ফোরাম গত নির্বাচনও মনিটর করেছে, আগামী নির্বাচনেও তারা মনিটরিং দল পাঠাবে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।

ড. হাছান বলেন, তাদের জানিয়েছি, সব সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও ঠিক সেভাবেই নির্বাচন হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে আমাদের দেশেও বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনীভীতি পেয়ে বসেছে। এটি স্বাভাবিক, কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে তারা আসলে গণতন্ত্রকেই প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল, ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘ডান-বাম, অতিডান-তালেবান’ সবাইকে নিয়ে বিরাট মোর্চা ঐক্য করে বিএনপি পেয়েছিল ৬টি আসন। এখন যাদের নিয়ে ঐক্য করেছে, তারা যখন প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে, সেখানে যত না লোক থাকে তার চেয়ে বেশি সাংবাদিক থাকে। সেজন্য নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে তাদের। তারপরও আমি আশা করবো তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তবে বিএনপি এখন হাঁটা শুরু করেছে, দেখা যাক তারা ক’বছর হাঁটে।

মন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সব দল যাতে অংশগ্রহণ করে সে জন্য নির্বাচন কমিশন উদ্যোগ গ্রহণ করবে। খেলায় আয়োজকরা নিশ্চিত করে কারা কারা খেলতে আসবে। অন্যরা কে খেলবে বা খেলবে না সেটা যারা খেলতে যাবে তাদের দেখার দায়িত্ব না। তেমনি নির্বাচনের খেলার মাঠে আমরা একটা দল, বিএনপিও একটা দল। আমরাও চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। আমরা ওয়াকওভার চাই না, আমরা খেলতে চাই, খেলে গোল দিয়ে জিততে চাই এবং দল হিসেবে আমরা আহ্বান জানাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়।

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ উপলক্ষে জার্মানি, নেপাল, ভুটানসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন। গতকাল (শনিবার) আমরা জাতীয় পার্টি, জাসদ এবং ইসলামী ফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে আগামী নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের হবে, গ্রহণযোগ্য হবে এবং পর্যাপ্ত বিদেশি পর্যবেক্ষক দল যাতে পর্যবেক্ষণ করতে পারে সে পরামর্শ চেয়েছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসা, যাতায়াতের বিষয়ে যাতে বেগ পেতে না হয় সেজন্য আমরা সরকারের সহায়তা চেয়েছি।

Share This Article


আগামীকাল তারুণ্যের মুখোমুখি হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়

বিদ্যুৎ পরিষেবা আরও সহজলভ্য করা হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

পুনঃতফসিল হচ্ছে না : ইসি

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনী‌তি নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন জমা

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক

চোরাগোপ্তা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

জিপিওতে শিকড় পরিবহনে আগুন

বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে লড়বেন হিরো আলম

আকাশ আর পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে আছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কিছু নেই: সচিব

ইইউর সঙ্গে আওয়ামী লীগও অংশগ্রহণমূলক-নিরপেক্ষ নির্বাচনে একমত