স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

- দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন প্রোগ্রাম করবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
- প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইসিটি বিভাগ থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গ্রিন, ক্লিন, সেইফ এবং স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হবে। প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে এখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মনোনীত ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল নথি সিস্টেম (ডি-নথি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে গেছে। আমরা এখন নলেজ বেইজড ইকনোমির দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে যেকোনো সময় ও স্থান থেকে ইলেকট্রনিক্যালি অফিসের কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে ই-নথি চালু করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১১ হাজার দফতরে লক্ষাধিক কর্মকর্তা ২ কোটির বেশি ই-নথি ব্যবহার করেছেন। ই-নথি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ ও সময় সাশ্রয় এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দ্রুততা নিশ্চিত করা গেছে। কাগজ ব্যবহারের মাধ্যমে এ ফাইল সম্পাদন করা হলে পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতো।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকনোমি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট এ চারটি এরিয়া ঠিক করে দিয়েছেন। ইনোভেটিভ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকার, একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্টনারশিপ দরকার। এই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান প্রমুখ।