অস্ত্র চোরাচালানে তারেকসহ বিএনপির মন্ত্রী-এমপিরা জড়িত ছিল: তথ্যমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫১, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২ ফাল্গুন ১৪২৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তো নিজেরা সন্ত্রাসী দল, সুতরাং দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার করে ভারতবর্ষেও অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল তারা। যে কথাটি এতদিন বলে আসছিলাম আমরা। বিএনপির মন্ত্রী-এমপি, হাওয়া ভবন ও হাওয়া ভবনের বরপুত্র তারেক রহমান যে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এটি অনুপচেটিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।

শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উন্নয়ন সমন্বয় সভার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার সারাদেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এসব করে তারা আসলে দেশে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আগের কর্মসূচিতে তারা গাড়ি পুড়িয়েছে। আমাদের শান্তি সমাবেশের ওপর হামলা চালিয়েছে। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের পাশে থাকা, দেশে যেন কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি নষ্ট করতে না পারে।

চট্টগ্রামের উন্নয়ন শীর্ষক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান। সমন্বয় সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা আমরা সহ্য করব না। সেই কারণে এ ধরনের চোরাচালান এবং অস্ত্র চোরাচালান পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে। গত বছর আমি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সফরে গিয়েছিলাম। বিএনপির সময়ে হাওয়া ভবন এবং তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্র চোরাচালান হয়েছে, বর্তমানে যে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে সেগুলো হচ্ছে না, সেজন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী আমার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।

বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না, কিন্তু যারা রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়েছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জনগণের সহায় সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে তারা যে আবার কখন একই কাজ করবে সেটি বলা যায় না। তাই সমগ্র বাংলাদেশে আমরা আগামীকাল শনিবার প্রত্যেকটি জেলায় শান্তি সমাবেশ করব এবং সতর্ক দৃষ্টি রাখব যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে। কারণ বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

হাছান মাহমুদ বলেন, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যখন মাঠে নামে, তখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য বাধ্য হয়ে আমাদেরও মাঠে থাকতে হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাঠের রাজনীতির দল, আমরা বিরোধী দলে যখন ছিলাম তখন যেমন মাঠে ছিলাম, সরকারি দল হলেও মাঠের রাজনীতির দল হিসেবে সব সময় মাঠে আছি এবং থাকবো।
 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত

শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায় সরকার : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

কোটা আন্দোলনকারীরা আলোচনায় বসতে রাজি সরকার

কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল : ডিএমটিসিএল

আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্র করছে: ডিবিপ্রধান

কোটা আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত

ঢাবির হলে হলে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে ভাঙচুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা শুরু

ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

‘রাজাকারের স্লোগান’ নেতৃত্বদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে : কাদের