আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক: আলোচনায় ৫ জন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:২৫, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২, ৩০ আষাঢ় ১৪২৯

আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই কাউন্সিলে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো সাধারণ সম্পাদক পদ। কারণ আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা হলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তার কোনো বিকল্প নেই। কাজেই যেকোনো বিচারে শেখ হাসিনা যে আবার আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এটি নিয়ে কোনো আলোচনা নাই।

বরং এর ব্যতিক্রম হলে মাঠ পর্যায়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তা মেনে নেবে না। শেখ হাসিনাকে যেকোনো মূল্যে সভাপতি পদে পুনর্বহাল রাখতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু শেখ হাসিনাই। যতদিন তিনি জীবিত থাকবেন ততদিন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে তিনিই থাকবেন। সে কারণে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল গুলোতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয় দলের সাধারণ সম্পাদক পদ। আর এই সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নানামুখী আলোচনা এখন তুঙ্গে।

আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দুই মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তৃতীয় মেয়াদে তিনি আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন এখন বেশ জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যে, তিনি হয়তো সাধারণ সম্পাদক পদে হ্যাট্রিক করবেন। আর এটি যদি হয় তাহলে সেটি হবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া কেউই পরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কথা রয়েছে। মন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক পদে একসাথে দায়িত্ব পালন করা কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্নও দলের ভেতর আলোচনা হচ্ছে। তাছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দলের ভেতর নানা ধরনের কোন্দল এবং বিরোধ প্রকাশ্য হয়েছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙেছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এরকম পরিস্থিতির মুখেও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন শুধুমাত্র একটি হিসেবে, তা হলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি হয়তো বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনতে চাইবেন না। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বিতীয় আলোচিত ব্যক্তির নাম হলো জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাহাঙ্গীর কবির নানক এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী। অনেকেই মনে করেন যে, নেতাকর্মীদের সবচেয়ে পছন্দের সাধারণ সম্পাদক হলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাহাঙ্গীর কবির নানক গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পাওয়াটা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য শাপে বর হয়েছে। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতির আরও আস্থাভাজন-ঘনিষ্ঠ হন। পরবর্তী পর্যায়ে তাকে প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম প্রাণভোমরা বিবেচনা করা হয় জাহাঙ্গীর কবির নানককে। তিনি দলের সভাপতির নির্দেশে দল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই ত্যাগী নেতার সাধারণ সম্পাদক না হওয়াটা হবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে একটি বড় বিস্ময় ঘটনা। তবে আওয়ামী লীগের নেতারাই মনে করেন যে, জনপ্রিয় প্রার্থীরা প্রায়ই দলের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন না।

সাধারণ সম্পাদক পদে তৃতীয় আলোচিত নাম হলো ড. আব্দুর রাজ্জাক। ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। আওয়ামী লীগের বাইরে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে তার যোগাযোগ অনেকটাই কম। তবুও একজন ভদ্র রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আলাদা একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ড. হাসান মাহমুদ। তিনি বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। অনেকটাই আওয়ামী লীগের মুখপাত্র পরিণত হয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতির বাইরে তিনি সবচেয়ে বেশি সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমালোচনার ক্ষেত্রে। আর এ কারণেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নাম ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

এসবের বাইরে চমক হিসেবে নাম আসছে খায়রুজ্জামান লিটনের। তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। জাতীয় চার নেতার একজন এ এইচ এম কামরুজ্জামানের সন্তান। পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আলাদা ইমেজ রয়েছে এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতির আলাদা একটি আবেগ কাজ করে। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিনের ত্যাগী এবং পোড়খাওয়া একজন রাজনীতিবিদ। রাজনীতিতে তার কোনোরকম কলঙ্ক নেই। একজন শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। এ কারণেই অনেকে মনে করছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়তো এবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে চমক হিসেবে আসবেন। ইতোমধ্যে জল্পনা-কল্পনা আরও উস্কে দেওয়া হয়েছে, যখন তাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যেই হোন না কেন এই পাঁচজনের মধ্যে থেকেই হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তার বাইরে কিছু হলে সেটা হবে আওয়ামী লীগের জন্য একটা বড় বিস্ময়।

Share This Article


ঈদ ও নববর্ষে পদ্মাসেতুতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা টোল আদায়

হিলি সীমান্তে বিএসএফকে মিষ্টি দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাল বিজিবি

শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বিএনপি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায় : ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু ২ মে

ইরানে কখন হামলা করা হবে জানাল ইসরায়েল

ঈদের আমেজ ব্যাংকপাড়ায়

৬ বিভাগে বইছে তাপপ্রবাহ, আরও বাড়বে গরম

আজ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংকের লেনদেন

বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট: ভোগান্তি ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ