শ্রমিকদের আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে কারা?
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মজুরি বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে গত ৪জুন শনিবার থেকে মাঠে নেমেছিলেন পোশাককর্মীরা। এসময় ভাঙচুর ও দোকানপাটে হামলার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুর ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান করে। সোমবার পর্যন্ত তারা রাজপথের গাড়ি, বিভিন্ন বাজার ও বাসা বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরদিন মঙ্গলবার পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে তাদের আর রাস্তায় দেখা যায়নি।
পুলিশ বলছে, শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক, কিন্তু আন্দোলনের নামে রাস্তায় নেমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সন্দেহ ঘনীভূত হয় যে, এটিকে ঘিরে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, কারো কথায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করলে দেশ ও নিজেরই ক্ষতি। কাদের প্ররোচনায় নেতারা উস্কানি দিচ্ছেন তাও ভেবে দেখতে বলেন শ্রমিকদের।
তিনি আরো বলেন, আজ যদি তারা বেতন-ভাতা বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেন,ভাঙচুর চালান,তবে গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবে,রফতানিও বন্ধ হবে,তখন তো আমও যাবে, ছালাও যাবে। বেতনতো বাড়বেই না, উল্টো চাকরিই চলে যাবে।কিন্তু যারা উস্কানি দিয়ে রাস্তায় নামায় তাদের কিছুই হবেনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মেগা প্রজেক্টের উদ্বোধন হবে এবছরই। এটিকে বাধাগ্রস্ত করতে তৎপর রয়েছে একটি কুচক্রীমহল। তারাই শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছে, তাদের আন্দোলনকে সহিংস রুপ দিতে কাজ করছে।তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমিকরাই।
তবে কারা শ্রমিকদের আন্দোলনে উস্কানি বা প্ররোচনা দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত না করলে এ সমস্যা চলতেই থাকবে।
শ্রমিকদের নিয়মতান্ত্রিক ও অহিংস আন্দোলন হলে তাতে বাধা দেয়ারও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন তারা।