মান্নার প্রয়াণ দিবস আজ

  বিনোদন ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২২, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪ ফাল্গুন ১৪২৯
মান্না
মান্না

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি, বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মান্নার ১৫ তম প্রয়াণ দিবস। ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মান্না নামে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে পরিচিত হলেও পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার। অসংখ্য ভক্তকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান এক সময়ের এই ঢালিউড কিং।

১৯৬৪ সালে টাংগাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এ প্রতিবাদী নায়ক। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। এরপর চলচ্চিত্রাঙ্গনে নিবেদিত এক শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। নব্বই দশকে অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হলে যে কজন প্রথমেই প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের মধ্যে নায়ক মান্না ছিলেন অন্যতম। অশ্লীল চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ করে শেষ অবধি জয়ী হয়েছিলেন তারা। ১৯৮৫ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত পাগলী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র শিল্পে অভিষেক ঘটে। যদিও তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র তওবা। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত কাসেম মালার প্রেম চলচ্চিত্রে প্রথম একক নায়ক হিসেবে চম্পার বিপরীতে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়।

মান্না চব্বিশ বছরের কর্মজীবনে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত আম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া তার আরও কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- দাঙ্গা, কাসেম মালার প্রেম, আম্মাজান, শান্ত কেন মাস্তান, কষ্ট, বীর সৈনিক, অবুঝ শিশু, সাজঘর, উত্তরের খেপ ও কাবুলিওয়ালা, চাঁদাবাজ, সিপাহী, দেশপ্রেমিক, দেশদ্রোহী, ধর, তেজী ও সমাজ কে বদলে দাও, লাল বাদশা, গুন্ডা নাম্বার ওয়ান, কুখ্যাত খুনি, ধ্বংস, বাবার কসম, বাস্তব, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ ইত্যাদি।

বীর সৈনিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আম্মাজান চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তিনবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন এবং বেশ কয়েকবার বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।

মান্না অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন। তিনি কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি লুটতারাজ, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধু এক স্বামী, আমি জেল থেকে বলছি, পিতা মাতার আমানতসহ মোট আটটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article