তিন ফসলি জমি রক্ষায় হচ্ছে কমিটি: উৎপাদন বাড়বে ৩০ শতাংশ!
ফসলি জমি সংরক্ষণে এখন থেকে নিয়মিতভাবে তদারকের আওতায় আনা হবে 'তিন ফসলি জমি'। কোনো তিন ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। সেখানে নতুন কোনো প্রকল্পও নেওয়া যাবে না। সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই এটা কার্যকর থাকবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীসভার বৈঠকে এমন নির্দেশনাই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এর জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার সময় যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। তিন ফসলি জমি হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছেও নির্দেশনা পাঠানো হবে বলে জানান সচিব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে আবাদযোগ্য পতিত জমিসহ উপকূল ও হাওড় অঞ্চলের জলাবদ্ধ এক ফসলি জমিকে দুই বা তিন ফসলি জমিতে পরিণত করতে পারলে বছরে ৫০ লাখ টন বাড়তি খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব। অন্যদিকে, দেশের জলাবদ্ধ এলাকায় জলবায়ু সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করা গেলে বছরে আরও পাঁচ লাখ টন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হবে।
কৃষি বিভাগের গবেষণায় বলা হয়, শুধু সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলেই এক ফসলি প্রায় ৫ লাখ হেক্টর জমিকে দুই বা তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত করা যাবে। এছাড়া অস্থায়ী অনাবাসীদের মালিকানাধীন বৃহত্তর সিলেট, নোয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে পতিত থাকা প্রায় ৭০ ভাগ জমির ৫০ শতাংশে বোরো, আউশ ও আমন ধানের চাষ করা যাবে।
তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিত্যক্ত ও পতিত প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় ১৪ জেলার আবাদযোগ্য ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮১ হেক্টর চলতি পতিত জমিতেও চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষি গবেষকদের ধারণা, কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত ও সুষ্ঠু ব্যবহার করা সম্ভব হলে সামগ্রীক ফসলের উৎপাদন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা সহজ হবে।