জার্মানিতে সুপাশপ খালি, ২ লিটারের বেশি তেল কেনা নিষেধ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:১৪, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২৩ মাঘ ১৪২৯

দেশটিতে এখন এক কেজি আঙ্গুর মিলছে ৫.১১ ইউরো বা ৬ শ টাকায়।কলা এখানে কেজি দরে বিক্রি হয়। কলার কেজি বর্তমানে ৪৭০ টাকা। কমলা ৪৫০ টাকা কেজি। ভোজ্য তেল প্রতি লিটার ২৯০ টাকা। তবে তেলের দাম একটু কম। সেজন্য জনপ্রতি ২ লিটার নির্ধারণ করা আছে। কেউ যাতে ২ লিটারের বেশি তেল কিনতে না পারে।

ইউরোপীয় ইইনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল জার্মানি।কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের ১ বছরের মাথায়ই এই দেশটির ভান্ডারেও টান পড়তে শুরু করেছে। সাম্প্রতিককালে জার্মানির নিত্যপণ্যে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। সুপারশপগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে না নিত্যপণ্য।এমনকি  তেলসহ বেশকিছু পণ্যের ক্রয়সীমাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, যাতে চাইলেও কেউ অতিরিক্ত পণ্য কিনতে না পারে।  

সুপার মার্কেটে অধিকাংশ পণ্যের র‌্যাকই খালি, নিত্যপণ্যের অনেক কিছুই প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে না।পাওয়া গেলেও অধিকাংশ পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া।

দেশটিতে এখন এক কেজি আঙ্গুর মিলছে ৫.১১ ইউরো বা ৬ শ টাকায়।কলা এখানে কেজি দরে বিক্রি হয়। কলার কেজি বর্তমানে ৪৭০ টাকা। কমলা ৪৫০ টাকা কেজি। ভোজ্য তেল প্রতি লিটার ২৯০ টাকা। তবে তেলের দাম একটু কম। সেজন্য জনপ্রতি ২ লিটার নির্ধারণ করা আছে। কেউ যাতে ২ লিটারের বেশি তেল কিনতে না পারে।

আলুর কেজি ১৯০ টাকা, পেয়াজ ৭০ টাকা। ছোট একটি মিষ্টি কুমড়া ২৩০ টাকা। একটি বাঁধাকপির দাম ১৫০ টাকা। গাজর ১১৭ টাকা। এক পিস আমের দাম ২৭০ টাকা। বড় একটি আনারস ২৩০ টাকা।

এছাড়া টমেটোর কেজি ৪১০ টাকা, ক্যাপসিকামের কেজি ৪৫০ টাকা।রসুন ৫৮০ টাকা। একপিস শশা ১৫০ টাকা। সাধারণ চাল ১২০ টাকা। দুধ প্রতি লিটার ১৩০ টাকা। প্রতি পিস ডিমের দাম ২০ টাকা। এভারেজ প্রতি কেজি মাছের দাম ২ হাজার টাকা।

এতো গেল নিত্য পণ্যের বাজার। জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও বাসাভাড়া বেড়েছে তিনগুণ। গত এক বছরে গ্যাসের দাম বেড়েছে ১৬ গুণ। বাধ্য হয়ে অনেকে ফায়ারপ্লেসে কাঠ জ্বালিয়ে ঘর গরম করছেন। তবে কাঠের দামও বেড়ে গেছে ৪ গুন। আগে তাদের বছরে গ্যাসের বিল আসতো ৮শ’ ইউরো। আর এখন বছরে খরচ হচ্ছে ২৩শ’ ইউরোরও বেশি।

অন্যদিকে নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সাথেসাথে সমগ্রীক জীবনধারণ ব্যয় অনেকগুন বৃদ্ধি পেলেও আয় বৃদ্ধি পায়নি মোটেও ,রয়েছে আগের মতোই।ফলে জীবনযাপনে চলছে টানাপোড়ন,হিমশিম খেতে হচ্ছে পুরো জার্মানবাসীকে।

Share This Article