বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন:সময় না পেরুতেই বেকায়দায় আন্দোলনের সঙ্গীরা!
- ঘন ঘন কর্মসূচি আসায় আর্থিক সংকট তাল মেলাতে না পারা।
- আশানুরূপ জনসমাগম না হওয়া।
- সমালোচকদের উপহাসের শিকার।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছে সরকারবিরোধী দলগুলো। ১০ ডিসেম্বর ১০ দফা, ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিলের মাধ্যমে আন্দোলনের এ ধারা শুরু হয়।তবে সরকার পতনের এই আন্দোলনে ধীরে ধীরে রাজপথে নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তির জানান দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও আন্দোলন শুরুর এক মাস যেতে না যেতেই বেকায়দায় পড়েছে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা।
জানা যায় ,ঘন ঘন কর্মসূচি আসায় আর্থিক সংকটের কারণে তার সাথে তাল মেলাতে পারছে না ছোট দল ও সংগঠনগুলো। ফলে আন্দোলন-সংগ্রামে আশানুরূপ জনসমাগম ঘটাতে না পারায় উপহাসের শিকার হচ্ছেন তারা।
সূত্রমতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে থাকার সময়ে বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করলে শরিক দলের নেতারা উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিয়ে চলে আসতো। কিন্তু যুগপৎ আন্দোলন করতে গিয়ে আলাদা করে শরিকদের প্রোগ্রামের আয়োজন করতে হচ্ছে, যেখানে নিজেদের খরচে নেতাকর্মীদের আনতে হচ্ছে। আবার বিএনপির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে প্রোগ্রামও রাখতে হচ্ছে। যার ফলে ছোট-ছোট জোটগুলোকে বেশ আর্থিক সংকটে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে বিএনপির ১২ দলীয় জোটের ৬টি দলের কোনো সাংগঠনিক শক্তি নেই। বাকি যে ৬টি দল আছে, তাদেরও অবস্থা খুব বেশি ভালো না। ফলে, নামে ১২ দলীয় জোট হলেও মূলত ৬ দলকে সবকিছু করতে হচ্ছে। আরেক জোটসঙ্গী ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’। ১১টি দল নিয়ে গঠিত জোটের শরিকরাও বিলুপ্ত হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ছোট ছোট এসব দলগুলো গঠিত হয় মূলত নির্বাচনের সময় নানান ফায়দা আদায় করতে। কিন্তু সত্যিকারের আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার কোন যোগ্যতাই নেই এসব দলের। ফলে আন্দোলনের এই জোট কাগজে কলমে বৃহৎ হলেও মূল কাজটি করতে হচ্ছে বিএনপিকেই। ফলে যুগপৎ আন্দোলনে স্বাভাবিকভাবেই ভাটা পড়েছে।