নির্বাচন কমিশনে চিরুনি অভিযান:সর্ষেই ভুত!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:১২, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২০ মাঘ ১৪২৯

অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন,জাল স্বাক্ষর,  মারাত্মক অসদাচরণ,  চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোড সহ নানান অপরাধের দায়ে তাদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত, বিভিন্ন মেয়াদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, পদাবনতিসহ নানা ধরনের সাজা দেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনে চিরুনি অভিযান:সর্ষেই ভুত!

কি হচ্ছে নির্বাচন কমিশনে?কেন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে এই কমিশনের কর্মকর্তাদের?কেনইবা চিরুনি অভিযান চালাতে হলো এই কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে?
দেশী ও আন্তর্জাতিক মহল যখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সোচ্চার তখন ওই সমস্ত কর্মকর্তাদের  সততা ও ভূমিকা আজ জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, জনমনে দেখা দিয়েছে    শঙ্কা।

জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি, অসদুপায় অবলম্বন, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে রুযুকৃত বিভাগীয় মামলার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ২৫ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাসহ মোট ৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে  চাকরি থেকে বরখাস্তসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে শুধু কি তারাই? না । আছেন আরও অনেকেই।

৩১ জানুয়ারি ইসির ওয়েবসাইটে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।এই শাস্তির তালিকায়  প্রথম শ্রেনীর ২৫ জন কর্মকর্তা, দ্বিতীয় শ্রেনীর ৩ জন কর্মকর্তা, তৃতীয় শ্রেনীর ২৫ জন ও চতুর্থ  শ্রেনীর ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন,জাল স্বাক্ষর,  মারাত্মক অসদাচরণ,  চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোড সহ নানান অপরাধের দায়ে তাদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত, বিভিন্ন মেয়াদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, পদাবনতিসহ নানা ধরনের সাজা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব মোঃ নওয়াবুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপযুক্ত দলিল ছাড়াই ভোটার তালিকায় অন্তুর্ভূক্তি সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগে দুই বছরের জন্য পদাবনতি দেয়া হয়েছে।

কর্মস্থল থেকে পলায়নের অভিযোগে কুমিল্লার লালবাগ উপেজলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদুর রহমানকে চাকরি হতে বরখাস্ত  করা হয়েছ।

ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পাওয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করার দায়ে  নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোঃ আশাদুল হককে  তিরস্কার ও দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও আর্থিক অনিয়ম এর অপরাধে কুমিল্লার তিতাস  উপজেলা নির্বাচন অফিসার জনাব এস এম নাসির উদ্দিনকে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি পরবর্তী এক বছরের জন্য স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলিমুল রাজীকে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার সঙ্গে ‘মারাত্মক অসদাচরণ’ করার দায়ে এক বছরের বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের শাস্তি দিয়েছেন।

চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করায় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো, কামরুল ইসলামের বেতন নিম্নতর গ্রেডে অবনমিত করাসহ সাত বছরের জন্য পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে

প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মজিবুর রহমান অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বেতন নিম্নতর গ্রেডে অবনমিতকরণের শাস্তি পেয়েছেন।

এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যেও অনেকে বরখাস্ত হয়েছেন। অনেকের বেতন বৃদ্ধি বিভিন্ন মেয়াদে আটকে দেওয়া হয়েছে।কেউ কেউ নিম্ন বেতন গ্রেডেও অবনমিত হয়েছেন।

সূত্রমতে, এসব দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের কারণে দেশের বিভিন্ন উপ-নির্বাচনে জটিলতা এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে আসছিলো। এছাড়া ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে চাওয়া সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে, যাতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দ্বারস্থ হন সাধারণ মানুষ, কিন্তু সর্ষেতেই যদি ভুত থাকে তবে ভুত ছাড়বে কিসে?এরা ঘরের শত্রু বিভীষণের মতোই।
এদের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা অতীতে কখনোই সম্ভব হয়নি।এটি একটি  দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।তবে প্রদত্ত তালিকার বাইরেও এমন আরও অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে।নির্বাচন কমিশনের ইমেজ রক্ষার স্বার্থেই তাদেরও খুঁজে বের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।নির্বাচন কমিশনে চিরুনি অভিযান:সর্ষেই ভুত!

কি হচ্ছে নির্বাচন কমিশনে?কেন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে এই কমিশনের কর্মকর্তাদের?কেনইবা চিরুনি অভিযান চালাতে হলো এই কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে?
দেশী ও আন্তর্জাতিক মহল যখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সোচ্চার তখন ওই সমস্ত কর্মকর্তাদের  সততা ও ভূমিকা আজ জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, জনমনে দেখা দিয়েছে    শঙ্কা।

জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি, অসদুপায় অবলম্বন, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে রুযুকৃত বিভাগীয় মামলার প্রেক্ষিতে
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ২৫ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ও ৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে  চাকরি থেকে বরখাস্তসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে শুধু কি তারাই? না । আছেন আরও অনেকেই।

৩১ জানুয়ারি ইসির ওয়েবসাইটে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।এই শাস্তির তালিকায়  প্রথম শ্রেনীর ২৫ জন কর্মকর্তা, দ্বিতীয় শ্রেনীর ৩ জন কর্মকর্তা, তৃতীয় শ্রেনীর ২৫ জন ও চতুর্থ  শ্রেনীর ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন,জাল স্বাক্ষর,  মারাত্মক অসদাচরণ,  চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোড সহ নানান অপরাধের দায়ে তাদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত, বিভিন্ন মেয়াদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, পদাবনতিসহ নানা ধরনের সাজা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব মোঃ নওয়াবুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপযুক্ত দলিল ছাড়াই ভোটার তালিকায় অন্তুর্ভূক্তি সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগে দুই বছরের জন্য পদাবনতি দেয়া হয়েছে।

কর্মস্থল থেকে পলায়নের অভিযোগে কুমিল্লার লালবাগ উপেজলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদুর রহমানকে চাকরি হতে বরখাস্ত  করা হয়েছ।

ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পাওয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করার দায়ে  নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোঃ আশাদুল হককে  তিরস্কার ও দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও আর্থিক অনিয়ম এর অপরাধে কুমিল্লার তিতাস  উপজেলা নির্বাচন অফিসার জনাব এস এম নাসির উদ্দিনকে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি পরবর্তী এক বছরের জন্য স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলিমুল রাজীকে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার সঙ্গে ‘মারাত্মক অসদাচরণ’ করার দায়ে এক বছরের বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের শাস্তি দিয়েছেন।

চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করায় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো, কামরুল ইসলামের বেতন নিম্নতর গ্রেডে অবনমিত করাসহ সাত বছরের জন্য পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে

প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মজিবুর রহমান অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বেতন নিম্নতর গ্রেডে অবনমিতকরণের শাস্তি পেয়েছেন।

এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যেও অনেকে বরখাস্ত হয়েছেন। অনেকের বেতন বৃদ্ধি বিভিন্ন মেয়াদে আটকে দেওয়া হয়েছে।কেউ কেউ নিম্ন বেতন গ্রেডেও অবনমিত হয়েছেন।

সূত্রমতে, এসব দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের কারণে দেশের বিভিন্ন উপ-নির্বাচনে জটিলতা এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে আসছিলো। এছাড়া ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে চাওয়া সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে, যাতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দ্বারস্থ হন সাধারণ মানুষ, কিন্তু সর্ষেতেই যদি ভুত থাকে, ভুত ছাড়বে কিসে?এরা ঘরের শত্রু বিভীষণের মতোই। তবে প্রদত্ত তালিকার বাইরেও এমন আরও অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে।নির্বাচন কমিশনের ইমেজ রক্ষার স্বার্থেই তাদেরও খুঁজে বের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Share This Article


আদালতে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

খুলনায় এজলাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

জঙ্গি নেতা বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের দৃশ্য ধারণ করে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ২

গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবক গ্রেফতার

রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্বর্ণ চোরাকারবারিরা সক্রিয়!

শাহজালালে ৭ কোটি টাকার সোনাসহ ৪ যাত্রী আটক

রাজমিস্ত্রির প্রেমে পড়ে কোটিপতি স্বামীকে ‘খুন’

কমলাপুরে ট্রেনে আগুন দেয়ার সময় আটক ১

গাইবান্ধায় হাত-পায়ের রগ কেটে যুবলীগ সভাপতিকে হত্যা

‘মুখে কাপড় বেঁধে ও নেমপ্লেট খুলে থানায় মারধর করে পুলিশ’