হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: মেয়র তাপস
‘হানিফ উড়ালসেতুর সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি’
মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও ঢাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিমতলী হতে ফুলবাড়িয়া অংশ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অবস্থা খুব বেসামাল। বিভিন্নভাবে তা দখল অবস্থায় রয়েছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখল মুক্ত করে উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, হানিফ উড়ালসেতুর সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আটটি অংশে (উড়ালসেতুর নিচের অংশকে) বিভক্ত করেছি। ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এবং এলাকার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই আটটি অংশেই আমরা এখানে খুব দ্রুতই কাজ শুরু করবো।
জনগণের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়েই উড়ালসেতুর নিচের অংশে সৌন্দর্যবর্ধন ও উন্নয়নন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর চাহিদা বিবেচনা করে আমরা এখানে কাজ করবো। জনগণ এখানে সৌন্দর্যবর্ধন না যাতায়াত সুবিধা চায়, নাকি হাঁটার পথ কিংবা কোনো ধরনের অবকাঠামো চায়, সে বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করবো। কারণ চাহিদা বিবেচনায় না নিয়ে কোনো কার্যক্রম নেয়া হলে তা নগরবাসীর উপকারে আসবে না। আমরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করছি। হয়তোবা একটু সময় নেবে। কিন্তু এটা সম্পন্ন হলে সবাই উপকৃত হবে।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছিল, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেল। এখনো স্থানান্তরিত হয়নি। আমি আশা করবো, এই ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, রাজধানীর শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে সেজন্য গুদাম করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ সব গোডাউন সরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছি। সেটি হলে পুরান ঢাকার বিপদজনক কেমিক্যাল গোডাউনের বিপদ থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ও কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন দাস, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডেও মো. আজিজুল হক এবং সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।