একদিকে আন্দোলন,আরেকদিকে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:০১, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১৭ মাঘ ১৪২৯

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনের জন্য যেই কর্মী বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে এটি তাদের সঙ্গে প্রতারণা স্বরুপ।একদিকে তারা রাজপথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছেন, আর অন্যদিকে দলের নেতারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করার জন্য ২০০ আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করে ফেলেছেন।

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে যাবে না-এমন ঘোষণা দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজপথে আছে বিএনপি। বিএনপির এই আন্দোলনে চাঙ্গাও হয়ে উঠেছে মাঠ পর্যায়ের নেতারা। তবে এরই মাঝে ২০০ আসনে বিএনপির প্রার্থী চুড়ান্ত হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দলের বোধবুদ্ধি সম্পন্ন নেতারা বলছেন, ২০০ আসনে যদি প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েই যায়, তাহলে আমরা আর তত্ত্বাবধায়ক  সরকারের জন্য আন্দোলন করছি কেন? এটি কি শুধুই আই ওয়াশ?

জানা গেছে, আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মাঠের প্রধান এই বিরোধী দল।শুধু তাই নয়, ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থীও বাছাই করেছে দলটি। বাকি ১০০ আসন তারা শরিকদের জন্য রেখেছে। অর্থাৎ আন্দোলনের পরিনতি যাই হোক, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি, সেটি   তত্ত্বাবধায়ক  সরকার হোক আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হোক।

ইতিমধ্যে এই মনোনয়ন বাছাইয়ের চূড়ান্ত কাজটি করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। আবদুল আউয়াল মিন্টু সাম্প্রতিক  সময়ে গণমাধ্যমে বলেছেন, ২০০ আসনে কারা মনোনয়ন পাবেন তা স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা জানেন। এতে মনোনয়নের বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত।

এদিকে দলটির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অবশ্যই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে।বিএনপি তো নির্বাচন করা দল। বিএনপি নির্বাচনে গেলে নিরঙ্কুশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করবে।

তবে দলের একটি অংশ বলছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনের জন্য যেই কর্মী বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে এটি তাদের সঙ্গে প্রতারণা স্বরুপ।একদিকে তারা রাজপথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছেন, আর অন্যদিকে দলের নেতারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করার জন্য ২০০ আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করে ফেলেছেন।

সমালোচকরা বলছেন, বিএনপি আসলে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছে।তাই দুই নৌকায় পা দিয়ে রেখেছে।এটি তাদের একটি কৌশলও হতে পারে।আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যন্ত কর্মীদের চাঙ্গা রাখা এবং অন্যদিকে সরকারকে চাপে রেখে নির্বাচনে যতটুকু সুবিধা আদায় করা যায়।কেননা বিএনপি মুখে যতই বলুক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবেনা, তারা এটিও জানেন যে বাস্তবে সরকার পরিবর্তন ছাড়া এই ফর্মুলার পুনর্বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।কাজেই এই দাবিতে কর্মীদের মাঠে নামানো এক ধরণের প্রতারণাই বটে।

Share This Article


মুজিবনগর সরকারের দক্ষতায় ৯ মাসে হানাদার মুক্ত হয় বাংলাদেশ

সামরিক শাসকের অধীনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইউনূসের মুখে গণতন্ত্র!

ফের বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক: উদ্বিগ্ন বিদেশি কূটনীতিকরা

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে বাড়বে গোপন তৎপরতা, মত শিক্ষাবিদদের

প্রসঙ্গ বুয়েট: ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রচেষ্টা দেশের জন্য স্থায়ী অকল্যাণ বয়ে আনবে

বেগম জিয়ার ঘনঘন ‘ফিরোজা টু এভার কেয়ার’ রহস্য উন্মোচন!

যে কারণে অপসারণের আগেই গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়তে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস

মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন নয়, 'মাইনাস টু ফর্মুলা’র জনক ছিলেন ইউনূস!

ড. ইউনূসের পক্ষে আইনকানুন ও যুক্তির ব্যবহার নেই, আছে আবেগের বাড়াবাড়ি

আর রাখঢাক নয়: ফের প্ৰকাশ্য হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক!

ঈদকে সামনে রেখে আগত মৌসুমী ভিক্ষুকদের সাথে রিজভীর সাক্ষাৎ!

শামীম ইস্কান্দারের প্রশ্ন : খালেদা জিয়ার স্বার্থেই কি বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারতোনা?