বিশ্বের ৫১ দেশে মাছ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ
বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে দেশের মৎস সম্পদে। বর্তমানে দেশের চাহিদা পূরণ করে পৃথিবীর প্রায় ৫১টি দেশে মাছ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এছাড়া দেশে গবাদিপশু উৎপাদনও বেড়েছে। ফলে এখন ভারত-মিয়ানমার থেকে আমদানি ছাড়াই কোরবানির পশুর চাহিদা মিটানো সম্ভব হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি তৈনি করছে উদ্যোক্তাও। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনের ফলে খাদ্যের বড় অংশের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। মানুষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে এ খাত থেকে। রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের উন্নয়নের ভূমিকা রাখছে এ খাত।
মৎস খাত গ্রামীণ অর্থনীতিকেও সচল করছে। দেশের মোট জিডিপিতে ৪. ৪১ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে ৩৮.৩৫ শতাংশ অবদান রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। চরাঞ্চলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান আছে। ১ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতে সম্পৃক্ত।
২৬ জানুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের মৎস সম্পদে এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে বলেও জানান মন্ত্রী।