রাজনীতিমুক্ত থাকার শর্তে নেতাদের মুক্তি চেয়েছে হেফাজত!
হেফাজতে ইসলামের নেতাদের মুক্তির পাশপাশি মামলা থেকে অবহ্যতি দেয়া, কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এবং কাওমি শিক্ষাবোর্ডকে সরকারি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানিয়ে এসেছে তারা।
আর কখনও রাজনীতিতে জড়াবে না, এমন শর্তে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি চেয়েছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অংশও হবেন না তারা। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রকাশ্য বা গোপন কোনো সম্পর্কেই জড়াবে না হেফাজতে ইসলাম।
গত ডিসেম্বরেই সরকারের তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন হেফাজত নেতারা।২৫ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা।
(তথ্যসূত্র দৈনিক দেশ রুপান্তর)
জানা গেছে, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের মুক্তির পাশপাশি মামলা থেকে অবহ্যতি দেয়া, কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এবং কাওমি শিক্ষাবোর্ডকে সরকারি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানিয়ে এসেছে তারা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতে নেতাদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানালেও বাকি দাবিগুলো নিয়ে সরকার আগ্রহী নয় বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে শর্ত ও দাবি যুক্ত করে এমন মুচলেকা দেয় হেফাজত। এর আগে হেফাজত নেতারা তিন মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে মুচলেকা দেয়ার সিন্ধান্ত নেন।এছাড়া জামায়াত ইস্যুতে তারা কোনো ছাড় দেবে না বলেও জানান,কেননা জামায়াতকে তারা ইসলামের ধারক-বাহক মনে করে না।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজত নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে, ধর্মকে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের যে অপপ্রচার চলছে এসবের বিরুদ্ধে হেফাজত যেন কথা বলে।আর কেউ বা কোন গোষ্ঠী বা মহল যদি সুস্থ রাজনীতি চর্চা করে তাতেও আপত্তি নেই সরকারের।কেননা এটি সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।