যে কারণে বিএনপিতে শ্রদ্ধাহীন হয়ে পড়ছেন মির্জা ফখরুল
শীর্ষ দুই নেতার সরাসরি দল পরিচালনার সুযোগ না থাকায় দলের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপিতে বিভিন্ন গ্রুপিং তৈরি হয়েছে। এটি দলীয় বিশৃঙ্খলার অন্যতম কারণ। আর এই বিশৃঙ্খলার কারণেই মূলত বিভিন্ন সময়ে মির্জা ফখরুলের সাথে নেতা-কর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে, অনেক সময় তিনি নিজেও সেটা ঘটাচ্ছেন, যা তার পদমর্যাদার সাথে মানানসই নয়
যতই দিন গড়াচ্ছে ততই নেতৃত্ব শুন্যতার দিকে যাচ্ছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। আইনগত কারণে বেগম জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি দল পরিচালনার সুযোগ না থাকায় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মূলত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে বিভিন্ন কারণে দিনদিন বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার কারণে নেতা-কর্মীদের কাছে শ্রদ্ধা হারিয়ে পদেপদে অপমানিত হচ্ছেন তিনি। কেউ তার কথা শুনেছেন না। প্রতিটি কর্মসূচিতেই দলীয় কর্মীদের চিৎকার চেঁচামেচি করে থামাতে হয় মির্জা ফখরুলকে। যার ভিডিও ফূটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, দুর্বল নেতৃত্ব, সমন্বয়হীনতা ও বিভিন্ন বেনামি কমিটির অনুমোদন দেওয়ার মতো কাজে লিপ্ত থাকার কারণে যতই দিন গড়াচ্ছে দলে মূল্যহীন হয়ে পড়ছেন মির্জা ফখরুল। সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর যেন পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন মির্জা ফখরুল।
সূত্রমতে, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরই দলের ভেতর নেতৃত্ব নিয়ে সংকট তৈরি হয়। এমতাবস্থায় অনেক সিনিয়র নেতাকে টপকিয়ে মির্জা ফখরুল লাইম লাইটে এলেও তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা ও জেলভীতি, এমনকি সরকারের সাথে গোপন আঁতাতের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ফলে দলের অভ্যন্তরে সকলের কাছে তিনি সন্দেহের পাত্রে পরিণত হয়ে শ্রদ্ধা হারাতে থাকেন। অনেক সময় প্রকাশ্যেই তার সাথে নেতা-কর্মীদের বেয়াদবীর মতো ঘটনাও ঘটছে।
সমালোচকরা বলছেন, শীর্ষ দুই নেতার সরাসরি দল পরিচালনার সুযোগ না থাকায় দলের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপিতে বিভিন্ন গ্রুপিং তৈরি হয়েছে। এটি দলীয় বিশৃঙ্খলার অন্যতম কারণ। আর এই বিশৃঙ্খলার কারণেই মূলত বিভিন্ন সময়ে মির্জা ফখরুলের সাথে নেতা-কর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে, অনেক সময় তিনি নিজেও সেটা ঘটাচ্ছেন, যা তার পদমর্যাদার সাথে মানানসই নয়। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষকেই আরও সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকরা।