বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের সম্রাট ‘ভোঁতা মালেক’!
ক্ষমতায় আসতে না পারার শঙ্কা থেকে অনেক নেতাই ঝুঁকেছেন মনোনয়ন বাণিজ্যের দিকে। আর এর পেছনে যাবতীয় কলকাঠি নেড়েছেন লন্ডন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে ভোঁতা মালেক।
দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এর মাঝে দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে দু দুটি জাতীয় নির্বাচন। বিগত দুটি নির্বাচনেই বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় যেতে না পারলেও অন্তত বিরোধী দল হিসেবে আত্মসম্মান ও প্রভাব-প্রতিপত্তি কিছুটা ফিরে পাবেন। কিন্তু এমন সহজ-সরল চিন্তা করেনি বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতাই।
ক্ষমতায় আসতে না পারার শঙ্কা থেকে অনেক নেতাই ঝুঁকেছেন মনোনয়ন বাণিজ্যের দিকে। আর এর পেছনে যাবতীয় কলকাঠি নেড়েছেন লন্ডন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে ভোঁতা মালেক।
তিনি এতোকিছু করছেন কিভাবে?
বিএনপির প্রায় সব নেতাই জানেন, আর্থিক বিষয়ে কখনও আপোষ করেন না তারেক রহমান। আর ভোঁতা মালেক এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছেন অত্যন্ত কৌশলে। দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাসকারী মালেক তারেক রহমানের সাহচর্যে থেকে ক্ষমতাধর হয়ে উঠছেন। দলীয় পদ-পদবী পেতে অনেকেই ধর্ণা দেন ভোঁতা মালেকের কাছে।
এদিকে নির্বাচন এলেই আরো স্বক্রিয় হয়ে ওঠেন ভোঁতা মালেক। বিগত দুটি নির্বাচনেই মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা তারেকের হাতে তুলে দিয়ে নিজের পকেটেও ঢুকিয়েছেন শতকোটি টাকা।
এছাড়া দেশের ভেতরেও গড়ে উঠেছে ভোঁতা মালেকের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট একদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে, অন্যদিকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা চাঁদা নিচ্ছে বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। সেই চাঁদার বড় অংশ পাচ্ছেন তারেক রহমানও।
সূত্রমতে আগামী নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন পেতে লন্ডনে তারেক রহমানের দ্বারস্থ হচ্ছেন বাংলাদেশের নেতা-ব্যবসায়ীরা। আর মনোনয়নের আশ্বাস দিয়ে তারেকের পক্ষে বড় অংকের চাঁদা নিচ্ছেন মালেক। এছাড়া বিভিন্ন সময় দেশ-বিদেশে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি গঠনের বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
সম্প্রতি ভোঁতা মালেক সম্প্রতি ‘সিটিজেনস মুভমেন্ট’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। মূলত সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানোর কাজ করে এই সংগঠনটি। আর এই কর্মকাণ্ডের খরচ বাবদ তারেক রহমানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছেন তারেকের কাছ থেকে।
তবে অনেকেই বলছেন ভোঁতা মালেকের এহেন কর্মকান্ড সম্পর্কে তারেক রহমান ভালোভাবেই অবগত।তাই তারেকের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।কেননা ভোঁতা মালেক তাকে ব্যবহার করে অর্থ কামালেও তিনি তার বিশ্বস্ত এবং লন্ডন গমনের প্রথম দিকে তারেককে বিভিন্নভাবে শেল্টার দিয়েছিলেন।তাই তার প্রতি তারেক রহমানের দুর্বলতা রয়েছে।