নিঃস্ব তারেক: 'হাওয়া ভবন' হয়ে গেল হওয়া!
গিয়াস উদ্দিন মামুনের সাথে প্রায় শত কোটি টাকার বাণিজ্য গড়েছেন তারেক রহমান। ওই সম্পদের মধ্যে রয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, মেয়াদি আমানতসহ (এফডিআর) অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। এছাড়া হওয়া ভবন, খোয়াব ভবনতো রয়েছেই। ওই সব সম্পদ থেকে তারেক রহমানকে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তার ঘনিষ্ঠরা।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের কোনো মালামাল পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পলাতক থাকায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়।
তবে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের কোনো মালামাল পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাদের আদালতে হাজির হতে বিজি প্রেসের মাধ্যমে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশের মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসলো তারেক রহমানের সম্পত্তির বিষয়টি।
সূত্রমতে গিয়াস উদ্দিন মামুনের সাথে প্রায় শত কোটি টাকার বাণিজ্য গড়েছেন তারেক রহমান। ওই সম্পদের মধ্যে রয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, মেয়াদি আমানতসহ (এফডিআর) অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। এছাড়া হওয়া ভবন, খোয়াব ভবনতো রয়েছেই। ওই সব সম্পদ থেকে তারেক রহমানকে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তার ঘনিষ্ঠরা। হাওয়া ভবনে চাকরি করা শামসুজ্জোহা তাদের মধ্যে একজন। পুলিশ তারেক রহমানের এতো সম্পদের কোন হদিস পায়নি, কারণ এগুলো এখন অন্যজনের নামে চলছে।
সমালোচকরা বলছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পর তারেক রহমানের সম্পত্তি না পাওয়া অনেকপ্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে তারেক রহমান তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ড্যান্ডি ডাইং কারখানা, সারা দেশের বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি করে শত কোটি টাকার যে সাম্রাজ্য গড়েছিলেন,তা কোথায় গেল? তিনি কি তাহলে নিঃস্ব? এছাড়া গাজিপুরে খোয়াব ভবনসহ
কুখ্যাত সেই হাওয়া ভবন কি হওয়া হয়ে গেল? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।