মামলা তুলে নিতে যেসব কৌশল নিয়েছিলেন ড. ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিকদের পাওনা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল, তা থেকে মুক্ত হতে একাধিক কৌশল নিয়েছিলেন তিনি। এবার সামনে এলো সেই তথ্যই।
জানা গেছে, যারা মামলা করেছিলেন, তাদের সবার মামলা তুলে নিতে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ দেন ড. ইউনূস। আর এ টাকার ভাগ পান শ্রমিক পক্ষের আইনজীবীরাও।
ইতোমধ্যে এ অর্থের লেনদেনের তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে, যেখানে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক ইউনিয়নের তিন নেতার অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকা করে ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। আর এককভাবে আইনজীবীদের কাছে যায় ১৬ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, সব পরিকল্পনাই ছিল ড. ইউনূসের। জড়িতদের একজন হচ্ছেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি। তার যোগসাজশেই টাকাগুলো আঁতাত করে নেতা ও আইনজীবীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, মামলা প্রত্যাহার করতে আইনজীবী ইউসুফ আলী ও শ্রমিক ইউনিয়নের কতিপয় নেতা গুজব ছড়ান ‘বাংলাদেশ হবে শ্রীলঙ্কা’। আর দেশের রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রী হবেন ড. ইউনূস। এ সময়ের মধ্যে যারা তাঁর নামে মামলা করেছেন ও কাজে বাধা দিয়েছেন তাদের সবাইকে দেশ ছাড়া করা হবে।
মূলত এরাই যোগসাজশ করে ইউনিয়নের অন্য নেতাদের এবং শ্রমিকদের বুঝিয়েছেন যে, তোমরা যদি মামলা প্রত্যাহারের দলিলে স্বাক্ষর না কর, তাহলে দেখা যাবে একসময় তোমরা সেই টাকাটাই পাবে না। আর টাকা না পাওয়ার ভয়ে সবাই মামলা প্রত্যাহার করেছেন বলেও জানিয়েছেন ডিএমপির এই যুগ্ম পুলিশ কমিশনার।
উল্লেখ্য, বকেয়া পাওনা বাদবদ ৪৩৭ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালে প্রথম মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৪ কর্মী। পরে পাওনা চেয়ে ৯৩টি মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান ও সাবেক কর্মীরা। ঢাকার শ্রম আদালতসহ সব মিলিয়ে ১৯০টি মামলা করা হয়।