উন্নয়ন-অর্জনে মাইলফলক আওয়ামী লীগ সরকারের

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২৮, শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ২৩ পৌষ ১৪২৯

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করার চার বছর শেষ হলো গতকাল। আজ পঞ্চম বছর শুরু। করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়লেও সরকারের এই মেয়াদের চার বছর উন্নয়ন-অর্জনের মাইলফলকের বছর। শত বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে উন্নয়নের নৌকা সামনে এগিয়ে নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বিশেষ করে গত বছর দেশের যোগাযোগ খাতে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। জটের শহর রাজধানীতে চালু হয়েছে মেট্রোরেল। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করেছে দেশ, এক দিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন, এক দিনে ১০০ মহাসড়ক-সড়ক উদ্বোধন, এক দিনে ১ কোটি মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এ চার বছরে বিশ্বে নতুন নজির স্থাপন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার তা হচ্ছে, ২ লাখ ১০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর দেওয়া হয়েছে। টানা চার বছরে সরকারের অভাবনীয় যেমন সাফল্য রয়েছে, তেমনি কিছু সংকটও ছিল। অর্থনৈতিক ও বৈষয়িক উন্নয়ন যে হয়েছে তা সমালোচকরাও স্বীকার করেন। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রশ্নে রয়েছে সমালোচনাও।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করেছিল। এর আগে ২০০৮ সালে নবম ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ ও মহাজোট। তিন মেয়াদেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। তাঁর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য। অর্থনীতিসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সরকারের টানা চার বছরের দুই বছরই কেটেছে করোনা মোকাবিলা করে। এ সময়ে শক্ত হাতে করোনা মোকাবিলা করে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখাই বড় সাফল্য। করোনার শুরুতে অনেকেই মনে করেছিলেন দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে সবকিছু সফলভাবে পরিচালিত হওয়ায় বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থার মধ্যেও অগ্রগতি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রশ্নে সমালোচনা রয়েছে। এ বছর সরকারের জন্য অনেক রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির নামে জনদুর্ভোগ যাতে না হয় সেদিকে উভয় পক্ষকে খেয়াল রাখতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। তা না হলে বৈশ্বিক মন্দার সঙ্গে দেশি রাজনৈতিক অস্থিরতা সংকট বৃদ্ধি করবে।’

বিশ্বমঞ্চে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য বড় একটি অর্জন। ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রাথমিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এ সাফল্যের চূড়ান্ত স্বীকৃতি মিলবে ২০২৪ সালে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির অভিযোগ ও সমালোচনা থাকলেও টিকা ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম দিকে বাংলাদেশের কাতারে থাকা দেশগুলো যেখানে টিকা পেতেই হিমশিম খেয়েছে, সেখানে অনেক আগেই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছিল সরকার। একইভাবে টিকা কার্যক্রম সফলভাবে শেষও করতে পেরেছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে সরকার। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে দেশ এরই মধ্যে ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। করোনার লকডাউনেও অনলাইনে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও ব্যাংকের কাজ এবং শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনী অঙ্গীকারের ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ স্লোগান বাস্তবায়নে প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। এ ছাড়া মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর প্রদান, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প এবং বয়স্কভাতা, বিধবাভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির প্রচেষ্টা সফলতার সঙ্গে এগিয়েছে। গত ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিসহ কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২৫ জুন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ১০ অক্টোবর নড়াইলে ছয় লেনের মধুমতী সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুচ্চালিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ৭ নভেম্বর দেশের ২৫ জেলায় নবনির্মিত ১০০ সেতু এবং ২১ ডিসেম্বর দেশের ৫০ জেলায় ২০২১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার সম্মিলিত দৈর্ঘ্যরে ১০০ সড়ক ও মহাসড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আপন কর্মমহিমায় শেখ হাসিনা হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা, হিমাদ্রিশিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কান্ডারি। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সারা দেশে যোগাযোগব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্ব মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল।’ তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে শেখ হাসিনার নাম চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। শেখ হাসিনার মতো দূরদর্শী নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপসহীন কান্ডারি হিসেবে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে। উন্নয়নের নতুন নতুন মাত্রা যোগ করেছে বর্তমান সরকার গ্রাম-শহর সবখানে। নাগরিক জীবনের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা যানজট। এ যানজট কমাতে সরকারের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। তাই দৃশ্যমান হয়ে উঠল ফ্লাইওভার। ফোর লেন, সিক্স লেন। গ্রাম-শহরের দূরত্ব কমাতে নদীর বাঁকে সেতু। অসংখ্য সেতু যোগাযোগ আরও সহজ করেছে।’

দক্ষিণাঞ্চল আর ঢাকার মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে আর মানুষের যোগাযোগ সহজ করতে তৈরি হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যে সেতু দেখে বিদেশিরা ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কারণ সরকারের নিজের টাকা দিয়ে তৈরি এ পদ্মা সেতু এখন সব মানুষের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। যে সেতু করার কথা ছিল বিদেশি সহায়তায়, সেই সেতু নির্মাণ হয়ে গেল একেবারে নিজস্ব অর্থায়নে। সারা বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়। পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের সাফল্যগাথা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নাগরিক জীবনের আরেক বিস্ময়কর মাইলফলক হচ্ছে মেট্রোরেল। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। এ অবদানের কান্ডারি বর্তমান সরকার। মেগা প্রকল্প হিসেবে সুপরিচিত এ মেট্রোরেল আজ নাগরিক জীবনে এক নতুন প্রাণচাঞ্চল্য এনে দিয়েছে।

সরকারের উন্নয়নের আরেক অনন্য মাত্রা কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল। টানেলের অন্য প্রান্তে অপেক্ষা করছে যেন মানুষের আরেক নতুন জীবন। উন্নয়ন আর এই নতুন জীবন যেন একই সূত্রে গাঁথা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেশে আজ শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে। সেখানে গড়ে উঠছে নতুন নতুন শিল্পকারখানা। এসব শিল্পকারখানায় চাকরির ব্যবস্থা হচ্ছে অসংখ্য বেকার মানুষের। তারাই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। এসব উন্নয়ন দেখে বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীসহ বিভিন্ন দেশ একবাক্যে স্বীকার করেছে, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

গত চার বছরে সরকারের ঝুলিতে একের পর এক যোগ হয়েছে উন্নয়নের সাফল্য। সেই সাফল্যে বদলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ভাগ্য। মাথাপিছু আয় বাড়ছে। আয়ের সঙ্গে কেনাকাটার সামর্থ্য বাড়ছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে সেটি হবে উন্নয়নের এক সোপান। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সরকারের রাজস্ব বাড়ছে। শহর আর নগর জীবনের মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে। গত চার বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সরকার তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়। সেই লক্ষ্য হচ্ছে- সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা, যার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্নকে সত্যি করে তুলতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়। প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করা হয়েছে। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ শুরু করেছে। কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন ও ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘১৪ বছর আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় সাংবিধানিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ধারাবাহিকতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অসাংবিধানিক কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত সব পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। যার সুফলতা দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বহু লেনবিশিষ্ট রাস্তাঘাট, বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ও সরকারিভাবে অধিকাংশ জেলা সদরে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি হয়েছে; যা বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে, উন্নয়নের রোল মডেল এবং বিশ্ব পরিমন্ডলে নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে রাজনীতির গুণগত মান এবং সৃজনশীলতা যেভাবে দৃশ্যমান হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি। সাংগঠনিক রাজনৈতিক চর্চা অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষমতায় থাকার কারণে প্রাধান্য পায়নি।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হলেও সরকারের শেষ বছরে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। চলতি বছর হবে রাজনৈতিক লড়াইয়ের বছর। আমাদের দেশে ক্ষমতার পালাবদলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সুখকর হয়নি কখনো। তাই ধারণা করা হচ্ছে, সরকারি ও বিরোধী শিবিরের অনড় অবস্থা তথা কাউকে ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা বড় বিপর্যয় নিয়ে আসবে। এ ক্ষেত্রে সরকার, বিরোধী দলসহ সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে জননিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির নামে জনদুর্ভোগ যাতে না হয়, সেদিকে উভয় পক্ষকে খেয়াল রাখতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। তা না হলে বৈশ্বিক মন্দার সঙ্গে দেশি রাজনৈতিক অস্থিরতা সংকট বাড়াবে। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার রেকর্ড একমাত্র আওয়ামী লীগের। উন্নয়ন-অর্জন দিয়ে আগামীতেও ক্ষমতায় আসতে হলে সরকারকে অনেক বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তরুণ ভোটারদের মন জয় করতে হবে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধীদের ইন্ধনে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হাতে সেগুলো দমন করতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন করতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্যদের মনোনয়ন দিতে হবে। নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে। সে চাপও সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। চলতি বছরে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। পর্যায়ক্রমে বাড়ছেও। এটা অব্যাহত রাখা জরুরি। এটা অব্যাহত থাকলে সহজেই অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠা যাবে। এজন্য যা কিছু দরকার, সবই করতে হবে সরকারকে।

Share This Article


নুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ: বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সাফাদি

যে কারণে বাংলাদেশের নির্বাচনে আমেরিকার নাক গলানো উচিত নয়: ইন্ডিয়া টুডে’র নিবন্ধ

নোবেল জয়ী ইউনূস : একজন সাদা মানুষের কালো অধ্যায়

গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাঝে অনাস্থা তৈরিতে দায়ী যে দুই সংবাদ মোড়ল

সাংবাদিকতার নামে শিশুকে এক্সপ্লয়েট করা জঘন্য অপরাধ: ড. সেলিম মাহমুদ

দুবাইয়ে আরাভের অঢেল সম্পদের নেপথ্যে কারা

ড. ইউনুসের অর্থপাচার এবং আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অপরাধের বিবরণ

খালেদার জায়গা নিতে চান ফখরুল

চমকে দেওয়া পর্যটন রেল

অতি বাম অতি ডানগুলো সব এক হয়েছে: হানিফ

বাংলাদেশ নিজের শক্তিতে দাঁড়িয়েছে

রেডিমেড প্রার্থী, শর্টকাটে এমপি