কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বেশ কিছুদিন অসুস্থতার পরে গত বছরের ৭ জুলাই পরলোক গমন করেন তিনি।
সিনেমার চরিত্রকে সম্পূর্ণ নিজস্ব ভঙ্গিমায় পর্দায় উপস্থাপন তাকে দর্শকের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিল। বলিউডের এই ‘ট্র্যাজেডি কিং’-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ছয় দশকের ক্যারিয়ারে দিলীপ কুমার উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় ছবি। এর
মধ্যে জনপ্রিয় ১০টি সিনেমার খবর থাকল এই আয়োজনে...
আন্দাজ (১৯৪৯)
এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নার্গিস, রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমার। ত্রিকোণ প্রেমের গল্পের এই ছবিতে দিলীপ কুমারের অভিনয় ছিল মনে রাখার মতো।
বাবুল (১৯৫০)
১৯৫০ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা। মিউজিক্যাল ঘরানার এই ছবিতে দিলীপ কুমারের সঙ্গে ছিলেন নার্গিস ও মুনাওয়ার সুলতানা। দিলীপ কুমার এই ছবিতে একজন পোস্টমাস্টার।
দিদার (১৯৫১)
বলিউডে স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় ছবিগুলোর অন্যতম। এই ছবির মাধ্যমে দিলীপ হয়ে ওঠেন ‘কিং অব ট্র্যাজেডি’। তার সঙ্গে ছিলেন নার্গিস ও নিম্মি।
দাগ (১৯৫২)
অমিয় চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবি প্রথমবারের মতো তাকে এনে দেয় ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার। ছবিতে দিলীপ কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেন নিম্মি।
দেবদাস (১৯৫৫)
বিমল রায়ের পরিচালনায় এই ছবিতে দিলীপ কুমারের নায়িকা সুচিত্রা সেন ও বৈজয়ন্তীমালা। এই ছবিই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসকে সর্বভারতীয় জনপ্রিয়তা দান করে।
নয়া দৌড় (১৯৫৭)
এই ছবিতে টাঙ্গাওয়ালা শংকরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিলীপ কুমার। এতে ব্যবহৃত ‘ইয়ে দেশ হ্যায় বীর জওয়ানো কা’ গানটি বলিউডের দেশাত্মবোধক গানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
মধুমতী (১৯৫৮)
শুধু দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারে নয়, ভারতীয় ছবির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে ‘মধুমতী’। বিমল রায়ের পরিচালনা, সলিল চৌধুরীর সুর, ঋত্বিক ঘটকের চিত্রনাট্য এবং অবশ্যই দিলীপ কুমারের অভিনয় এ ছবির অলঙ্কার। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বৈজয়ন্তীমালা।
মুঘল-এ-আজম (১৯৬০)
মুঘল আমলের পটভূমিতে রচিত কে আসিফের এই অমর প্রেমের ছবিতে শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিলীপ কুমার। সম্রাট আকবর ও রাজনর্তকী আনারকলি চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে পৃথ্বীরাজ কাপুর ও মধুবালা।
গঙ্গা-যমুনা (১৯৬১)
দুই দরিদ্র ভাইকে কেন্দ্র করে ছবির গল্প। একজনের নাম গঙ্গা আরেকজন যমুনা। দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন দিলীপ কুমার ও নাসির খান। দিলীপ এই ছবিতে একজন ডাকাতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আর তার ভাই পুলিশ। দুই ভাইয়ের এই দ্বন্দ্বই ছিল ছবির শক্তিশালী দিক। পরে এই ঘরানায় তৈরি হয়েছে অনেক ছবি।
রাম অউর শ্যাম (১৯৬৭)
এই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন দিলীপ কুমার। দুই যমজ ভাই। ঘটনাচক্রে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ছবিতে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন ওয়াহিদা রেহমান ও মুমতাজ। এই ছবির অনুপ্রেরণায় পরে বেশ কিছু ছবি হয়। হেমা মালিনী অভিনীত ‘সীতা অউর গীতা’, শ্রীদেবী অভিনীত ‘চালবাজ’ অন্যতম।