আজ কেনো পাকিস্তানীরাও একজন শেখ হাসিনা চান!
পাকিস্তানের সাংবাদিক ও কলামিস্ট ইমরান রিয়াজ খান সম্প্রতি বাংলাদেশী ও পাকিস্তানী মুদ্রার তুলনা করে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট দিলে সেটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।তার প্রেক্ষিতে আলোচনা শুরু হলে বাংলাদেশের মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর প্রসঙ্গত সেটি নিয়েও আলোচনা শুরু হয় পাকিস্তানীদের মাঝে।এরপর একজন পাকিস্তানী ইউটিউবারও বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মুদ্রা ও পাশাপাশি মেট্রো রেল নিয়ে আলোচনা করতে যেয়ে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং 'একদিন পাকিস্তানও শেখ হাসিনার মতো প্রধানমন্ত্রী পাবে' বলে মন্তব্য করেন।
জানা যায়,২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হলে বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও মেট্রোরেলের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এমনকি দেশটির মানুষ মেট্রোরেলের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তাদের নেতাদের গালিগালাজ করছেন এবং বলছেন এটি বাংলাদেশের জন্য আরেকটি '১৬ ডিসেম্বর'।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে একজন পাকিস্তানী ইউটিউবার বলেছেন, ‘যে দেশকে আমরা দুই টাকার দেশ হিসেবে ভাবতাম, আজ তারা মেট্রোরেল চালু করেছে। যে দেশকে হেনরী কিসিঞ্জার বলছিলেন তলাবিহীন রাষ্ট্র,সেই বাংলাদেশ পদ্মা সেতু তৈরি করেছে, তা আপনাদের অবশ্যই মনে আছে।হেনরি কিসিঞ্জার এখন কই?'
ওই ইউটিউবার আরও বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক বলেছিলো বাংলাদেশ পদ্মা সেতু বানাতে পারবে না। আমরা সাহায্য করবো না। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ বিশ্বব্যাংকের ভবিষ্যত বানীকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে।'
'অন্যদিকে বাংলাদেশী মুদ্রা এখন পাকিস্তানী দুই দশমিক এক মুদ্রার সমান। তাহলে বলতে হচ্ছে, আমরা পাকিস্তানীরা এখন বাংলাদেশের দুই টাকার সমানও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন অনেক খারাপ অবস্থায় ছিলো।কিন্তু এখন অবকাঠামো উন্নয়নে একেরপর এক রেকর্ড করছে। বাংলাদেশের মেট্রোরেল এখন পাকিস্তান এবং ভারতের মেট্রোরেলের চেয়েও অনেক এগিয়ে। পাকিস্তানের মেট্রোরেলের গতি ঘন্টায় ৫০, কলকাতার ২০, অন্যদিকে ঢাকার মেট্রোরেলের গতি ১০০ কিলোমিটার।
পাকিস্তানে ভাইরাল হওয়া ওই ইউটিউবার পরিশেষে বলেন, 'আশা আমাদের একটাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আমাদেরও একদিন প্রধানমন্ত্রী আসবে। তারা শুধু দেশের কথা ভাববে। ইনশাল্লাহ, বাংলাদেশের মতো একদিন আমরাও উন্নয়নের মহা সড়কে চলে যাবো।'
প্রসঙ্গত,এর আগেও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে নিজ দেশের শাসকদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভিডিও প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরাও।
বিশ্লেষকরা বলছেন,আজ পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ,এমনকি বিশিষ্টজনেরাও তাদের অতীতের ভুল বুঝতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রসরতার কারণে।আর তারা এটাও বুঝতে পেরেছে , যে দেশ ও নেতার প্রতি পাকিস্তান অবিচার করেছিল সেই নেতার কন্যার কারণেই বাংলাদেশের নাম আজ সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয়।তাই আজ শেখ হাসিনার মতো একজন যোগ্য নেতৃত্বই কামনা করছে পাকিস্তানের মানুষ।