জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডরোধে কিশোরগঞ্জে পুলিশের তৎপরতা
জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডরোধে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সফলভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এর নেতৃত্বে চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন সহকারী পুলিশ সুপার এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্লক রেইড অভিযান, চেকপোস্ট, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহন তল্লাশি কার্যক্রম জোরালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতর থানা এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মোস্তাক সরকার, পাকুন্দিয়া ও নিকলী থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আল-আমিন হোসাইন রয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর, তাড়াইল ও করিমগঞ্জ থানা এলাকায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার হোসেনপুর ও কটিয়াদী থানা এলাকায় এবং সহকারী পুলিশ সুপার (অষ্টগ্রাম সার্কেল) স্যামুয়েল সাংমা মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা থানা এলাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডরোধের পাশাপাশি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো কিশোরগঞ্জকে। জেলা পুলিশের উদ্যোগে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বাড়তি পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথ ছাড়াও আশেপাশের এলাকায় বাড়তি সতর্কতা এবং তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।
জেলা পুলিশ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্লক রেইড, চেকপোস্ট, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহন তল্লাশি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে চলছে এসব অভিযান। গত ৮ দিনে এসব অভিযানে মামলা হয়েছে ৬৮ টি, গ্রেফতার ২৩০ জন, ওয়ারেন্ট ২৪৯ টি। উদ্ধার হয়েছে ১৮৭০ পিছ ইয়াবা ও সাড়ে ৪১ কেজি গাঁজা।