মানবাধিকার দিবসে বিএনপির সমাবেশ:স্যাংশন কামনা ও লবিস্ট নিয়োগ!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:১২, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

রাজধানীতে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই দিন সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুশিয়ারি  উচ্চারণ করে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি।

বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক অঙ্গণ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জনমনে। সমাবেশের দিন বিএনপি আসলে কি করতে চায় এ নিয়ে রাজনীতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গণে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস।এই দিনকে নির্ধারণ করার পেছনে বিশেষ কোনও কারণ থাকতে পারে।কেউ বলছেন এদিন পুলিশকে টার্গেট করা সহজ হতে পারে তাদের জন্য।এ বিষয়ে রেজা কিবরিয়াসহ  সরকারবিরোধী কয়েকজন নেতার বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।তারা বলেছিলেন শীঘ্রই পুলিশ প্রশাসনসহ আরও কিছু ব্যক্তির ওপর আমেরিকান স্যাংশন জারি হতে পারে।দুএকজন আগে বাড়িয়ে '১০ ডিসেম্বর আরেকটি স্যাংশন আসছে' এমন কথাও বলেছিলেন। আর এ থেকেই অনুমিত হয় যে মানবাধিকার দিবসের মতো বিশেষ দিনকে তারা   'সুযোগে সৎ ব্যবহার' করে পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনও কালিমা লেপন করতে চাইছেন।                                      

সূত্রমতে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে  উষ্কানীমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে পুলিশকে প্ররোচিত করবে বাধা প্রদানে।ইতিমধ্যেই ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে  পুলিশের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলা ও সংঘর্ষ এবং ১জন  নিহতের ঘটনা বিএনপির এমন পরিকল্পনার ইঙ্গিতই বহন করে।১০ ডিসেম্বরেও পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হলে তারা পুলিশের বিপক্ষে অভিযোগ বা নালিশ জানানোর সুযোগ পাবে কূটনৈতিক মহল ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে,যাতে পুলিশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে কোনও পদক্ষেপ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।                                  

অন্যদিকে বিএনপি আন্তর্জাতিক লবিস্টেদের সঙ্গে মিলে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলেও জানা গেছে।যাতে মানবাধিকার দিবসে  তাদের বিপক্ষে সরকার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই মানবাধিকার দিবসের উসিলায় লবিষ্টদের কাজে লাগিয়ে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে তাদের পরিকল্পিত  ষড়যন্ত্র সফল করা সম্ভব হয়।                                

এছাড়া বিএনপির পক্ষে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিদেশি কূটনীতিকদের তড়িৎ  প্রতিক্রিয়া পেতেও   দলটি মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে  নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।আর এর ফলাফলও দলটি পেতে শুরু করেছে। ৭ ডিসেম্বর পল্টনে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের পরপরই   বিরোধী নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং একই দিনে জাতিসংঘ কতৃক মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিশ্চিতের তাগিদ প্রদান করা হয়।                                                

সমালোচকরা বলছেন অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি  মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে   বহুমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট।একদিকে বিশেষ একটি দিন নির্ধারণ করে নৈতিক  সুবিধা আদায়ের চেষ্টা এবং অন্যদিকে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলকে কাজে লাগিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সুবিধা আদায়।                      তবে রাজনীতির ভাষায় তারা  এসবকে 'রাজনৈতিক অপকৌশল বলেই মনে করছেন।কেননা জনগণকে সাথে নিয়ে জনগণের ওপর আস্থা রেখে রাজনীতি চর্চা করলে অর্থ খরচ , অপকৌশল বা বিদেশী শক্তির ওপর নির্ভরশীল হতে হয়না।এমন রাজনীতি থেকে বিএনপির বেরিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন তারা।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article


তীব্র গরমে রোগী ভর্তি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় বিএনপি: কাদের

উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে : ইসি আলমগীর

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ’ সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমীর

বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান

সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১১

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ইসরায়েল হামলা চালালে এবার সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান