বিশ্বকাপে সমাবেশ কাঁপে
- সমাবেশের উন্মাদনা কখনোই বিশ্বকাপকে ছাড়িয়ে যাবে না। দুনিয়া উল্টে যাক। মানুষ এবার বিশ্বকাপ নিয়েই মেতে থাকবে।
- ৭ ডিসেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের খবরে পল্টনে দুজনের মৃত্যুর চাপা পড়ে গিয়েছে।
- রসিক ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেই ফিফা এমন সিডিউল সাজিয়েছে।
- রাত ৩ টা পর্যন্ত খেলা দেখে ৪ টার আগে ঘুমানো সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের অনেকেই সমাবেশটি মিস করবেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমাবেশটি এখন চলছে কাতারে। কারণ বিশ্বকাপের চেয়ে বড় সমাবেশ বিশ্বে আর নেই।
তাই দীর্ঘদিন পর বিএনপির এই সমাবেশ যতোটা আলোচিত হওয়ার কথা ছিলো তারচেয়ে অনেক কম আলোচিত হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এমনকী সমাবেশে আসতে প্রস্তুত এমন বহু মানুষই ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে আসবে না, এমন আশঙ্কা করছেন খোদ বিএনপি নেতারাই।
রসিক ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেই ফিফা এমন সিডিউল সাজিয়েছে।
মধ্যরাতে খেলা :
সিডিউল বলছে, বিএনপির এই সমাবেশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ। বিশ্বকাপে যে দুটো টিমের খেলা হলে সারা বাংলাদেশ উন্মাদনায় মেতে ওঠে সেই দুটো দেশের খেলাই হবে শুক্রবার রাত। আর পরদিন হচ্ছে বিএনপির সমাবেশ।
অভিজ্ঞতা বলে, রাত ৩ টা পর্যন্ত খেলা দেখে ৪ টার আগে ঘুমানো সম্ভব না। হইহুল্লা আর দুঃখ কাটাতে কাটাতে ভোর হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের অনেকেই সমাবেশটি মিস করবেন।
চায়ের টেবিলে থাকবে বিশ্বকাপে :
রাজধানীতে একটি বড় সমাবেশ রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু আগামী কয়েকদিন চায়ের দোকান আর ঘরোয়া আলোচনায় থাকবে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। সমাবেশে বড় কোন অঘটন না ঘটলে বিশ্বকাপের আলোচনায় ভাগ বসানো সম্ভব হবে না। তাই হয়তো বিএনপিকে বড় কোন অঘটনের জন্মই দিতে হবে।
মিডিয়া কভারেজ কমবে :
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দুদলেরই ভাগ্য নির্ধারণ হবে সমাবেশের আগের রাতে। পরদিন মিডিয়া কভারেজের বড় অংশই থাকবে দুই দলের জয় পরাজয়ের কাহিনী। উল্লাস আর শোকের মাতম। তাই পত্রিকা জুড়ে সমাবেশের সংবাদে ভাগ বসাবে বিশ্বকাপ।
উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের খবরে পল্টনে দুজনের মৃত্যুর খবর চাপা পড়ে গিয়েছে।
বিশ্বকাপের উন্মাদনা কি কমবে?
বিশ্বকাপ, বিশেষ করে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ম্যাচকে ঘিরে পাড়ায়-মহল্লায় প্যান্ডেল টাঙানো হয়, চাঁদা তুলে বিরিয়ানী রান্না করা হয়। মানুষ চাঁদা দিয়ে এসব আয়োজন করে। অন্যদিকে সমাবেশ আয়োজন করা হয় দলের পক্ষ থেকে টাকা ছড়িয়ে।
তাই গুণিজনরা বলছেন, সমাবেশের উন্মাদনা কখনোই বিশ্বকাপকে ছাড়িয়ে যাবে না। দুনিয়া উল্টে যাক। মানুষ এবার বিশ্বকাপ নিয়েই মেতে থাকবে।