কাতারে নিরাপদ বোধ করছেন নারী ফ্যানরা: রয়টার্সের প্রতিবেদন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৭, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ নানা কারণে শুরুতে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিল কাতার বিশ্বকাপ। সমকামিতা ও মানবাধিকারসহ নানা বিষয়ও ছিল বেশ আলোচনায়।

 

পশ্চিমা বা ইউরোপীয়রাই কাতারের এমন আচরণের ঘোর বিরোধী ছিল। তবে সময় যতো গড়াচ্ছে দুর্নামে পড়া কাতারের এখন সুনামও শোনা যাচ্ছে। যেমন, অনেক ইউরোপীয় ফুটবল সমর্থকই জানিয়েছেন অ্যালকোহল কিংবা অ্যালকোহলযুক্ত বিয়ার ছাড়া তাদের বিশ্বকাপ দেখতে খুব একটা খারাপ লাগছে না। কেউ কেউ বলছেন, অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করায় উন্মাদের সংখ্যা কমেছে।

এবার নারীরাও দিল ইতিবাচক মত। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ফুটবল সমর্থকরা কাতারে বেশ নিরাপদ অনুভব করছেন। 
এলি মলোসন নামে এক ইংল্যান্ড সমর্থক বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল, মেয়েদের জন্য এটা ভয়ানক জায়গা। জানতাম না যে এখানে আমি এতটা নিরাপদ থাকব…দেশটিতে ভ্রমণে যাওয়া একজন নারী সমর্থক হিসেবে আমি বলতে পারি যে আমি খুব নিরাপদ বোধ করেছি।’

১৯ বছর বয়সী মলোসন আরও বলেছেন, ‘অ্যালকোহল পানে রাশ টানার সিদ্ধান্ত একটা জায়গায় দারুণ কাজে লেগেছে, আর সেটা হলো বিশ্বকাপ প্রাঙ্গণে তুলনামূলক কম বাজে পরিস্থিতির দেখা মিলেছে।’ তার মতে কাতারের সবকিছুই বেশ সাংস্কৃতিক, সুন্দর।  

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সামাজিকভাবে (কাতার) রক্ষণশীল হওয়ার কারণেই এমন নিয়ম (এখানে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ)। আমার মতে, অ্যালকোহল মানুষকে কিছুটা উগ্র করে তোলে, একে অপরের মাঝে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং এ কারণে যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনাও ঘটে।’

আর্জেন্টিনা ভক্ত  ২১ বছর বয়সী আরিয়ানা গোল্ড রয়টার্সকে বলেছেন, ‘নারীদের জন্য এখানকার পরিবেশ খুব ভালো। আমি ফুটবল খুব ভালোবাসি। দেশে থাকতে আমার ধারণা ছিল, কাতার হয়তো কেবল পুরুষদের জন্য (নিরাপদ) এবং হয়তো মেয়েদের জন্য এখানে হয়তো ঠিক স্বস্তিকর পরিবেশ নয়। কিন্তু না, আমি এখানে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে আছি এবং এখানকার সবকিছু খুব ভালো।’

ইংলিশ সমর্থক এমা স্মিথও জানালেন, ‘এখন পর্যন্ত এখানকার আবহ খুব ভালো, যদিও অ্যালকোহল পানে বাধা আছে এবং এ ব্যাপারে সবাই বেশ সংবেদনশীল। বিষয়টার সঙ্গে সবাই মানিয়ে নিচ্ছে এবং সবাই খুশি।’ তার মতে, ‘এখানে কোনো অ্যালকোহলজনিত সমস্যা নেই, খুবই নিরাপদ।’


সূত্র: রয়টার্স

বিষয়ঃ ফিফা

Share This Article