শিল্প ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ডেইলী স্টারের উস্কানি কেন?

প্রথম সারির একটি দৈনিক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে, এমন ধারণা থেকে সাধারণ মানুষ হয়তো সংবাদটি বিশ্বাসও করেছিল। এছাড়া অত্যন্ত প্রভাবশালী বা ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণে সিদ্ধহস্ত প্রধানমন্ত্রীর অতীত ইমেজের কারণেও মানুষ একে সত্যি বলেই ভেবে নিয়েছে। কিন্তু নাহ। সংবাদটির কানাকড়িও সত্য নয়। এটি সর্বৈব মিথ্যা। একই দিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমনটিই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায় কাউস।   

অন্যদিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাকে এ ধরনের কোনও নির্দেশ দেয়া হয়নি। শুধু এস আলম নয়, অন্য কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও তাকে খোজ খবর নিতে আদেশ দেয়া হয়নি। 
                                
প্রথম সারির একটি দৈনিক এমন ডাহা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে,বিষয়টি কি বড়ই অদ্ভুত নয়? তিলকে তাল করার প্রবাদ প্রচলিত আছে। কিন্তু যেখানে তিলই নেই সেখানে কি করে তাল হয়? তাও কি সম্ভব? সত্যিই সম্ভব। অসম্ভবকে সম্ভব করাই যে ডেইলী স্টার এর কাজ।                                                        

গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম আলো বা ডেইলী স্টারের মতো প্রথম শ্রেণীর পত্রিকার কাছ থেকে মানুষ গঠনমূলক সংবাদ প্রত্যাশা করে । কিন্তু  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরী, দায়িত্বহীন সংবাদিকতা। আসন্ন নির্বাচন ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে এমন সংবাদ ছাপানো হয়ে থাকতে পারে। এর আগেও দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়নের সময় ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে পাঠকদের বিশাল অংশকে বিভ্রান্ত করেছিলো এই পত্রিকা দুটো।

শুধু পাঠকই নয় দেশের নীতিনির্ধারকদেরও ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্ররোচিত করার অভিযোগ রয়েছে প্রথম সারির এই পত্রিকাটির বিরুদ্ধে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একগুয়েমির কারণে সৃষ্ট ওয়ান ইলেভেন পরবর্তি সময়ে ডেইলী স্টার ও প্রথম আলো পত্রিকা দুটির মিথ্যাচার ও প্ররোচনায় তৎকালীন সময়ে শুধু রাজনীতিবিদদেরই হেনস্থা করা হয়নি, একের পর এক শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করা হয়েছিল। 

ফলে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির আসন্ন ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে কেন্দ্র করে সুযোগ সন্ধানী একটি অপশক্তি পুনরায় দেশে তেমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

তারা মনে করছেন দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে একই সাথে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড যারা টিকিয়ে রাখেন সেই শিল্প ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়কে উস্কানি দিয়ে ক্ষেপিয়ে  তুলতে না পারলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবেনা। তাই তারা এস আলমের মতো একটি বৃহৎ শিল্প পরিবারকে বেছে নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আঘাত করার মিশন শুরু করেছে। তাদের টার্গেট বা গন্তব্য বহুদূর।        

"সাবাস, ডেইলী স্টার, এ দেশ অবাক তাকিয়ে রয়, গুজবে মানুষ জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মিথ্যাচার বন্ধ করবার নয়।"