১০ই ডিসেম্বর ঘিরে রাজনীতির উত্তাপ, যেভাবে দেখছে সাধারণ মানুষ
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।এর আগে বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে বিএনপির নেতারা দিনটিকে ঘিরে রাজধানীতে ‘নাশকতা’ করার আগাম হুমকি দিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন।এরই ধারাবাহিকতায় দলটির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ নিয়ে চিন্তিত রাজধানীবাসী।
তারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি যে ধরণের কথা বলছে তাতে মনে হয় তারা নৈরাজ্য করবে।শান্ত ঢাকাকে অশান্ত দেখতে চাইনা। সরকারের উচিত এই দিনেটিতে সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তা’না হলে আরেকটি ভয়াল ৫ মে দেখতে পাবে ঢাকাবাসী।
রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সন্তান নিয়ে এসেছেন সালমা খানম। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে যেভাবে মিডিয়াতে খবর দেখছি তাতে একটু টেনশন হচ্ছে। দেশের অবস্থা কি হবে? বাচ্চাদের লেখাপড়ায় কি প্রভাব পড়বে? বড় ধরনের ঝামেলা যে হবে এটা ধারণা করতে পারছি।
কথা হয় ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী সেতু খাতুনের সাথে। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর সম্ভবত বিএনপি ঢাকাতে নৈরাজ্য চালাবে। এতে আমাদের লেখাপড়ায় সমস্যা হবে। সামনে আমাদের পরিক্ষা। তাই আমরা এখন লেখাপড়ায় মনযোগী হচ্ছি। এমন অবস্থায় বিএনপির উচিত দেশের স্টুডেন্টদের কথা চিন্তা করা।
'আমরা গরীব মানুষ। রাস্তায় নামতে হবে। কাজ করে খেতে হবে। রাস্তায় নামতে না পারলে বউবাচ্চাদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। আমরা ১০ তারিখ অশান্ত ঢাকা শহর চাইনা। আমরা এই শহরে শান্তি চাই। বউবাচ্চাসহ কাজ করে খেতে চাই।' এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রাবাড়ির রিকশাচালক আবদুল কুদ্দুস ফকির।
মিরপুরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে চার সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন ময়মনসিংহ থেকে আসা ফরহাদ গাজি। তিনি ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে বলেন, আমার বড় সংসার। ঘরে আমিসহ ৬জন মানুষ খাবার খাই। একটা দিন ঝালমুড়ি বিক্রি করতে না পারলে খাবো কি? কিভাবে সংসার চালাবো সেই চিন্তায় আছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণতান্ত্রিক দেশে সভা-সমাবেশ করার এখতিয়ার রয়েছে সব দলের। তার মানে এই না যে, সমাবেশের নামে অচলাবস্থা তৈরি করতে হবে। নৈরাজ্য চালাতে হবে। সাধারণ মানুষদের কষ্ট দিতে হবে। কর্মসূচি পালন করতে হবে সবার কথা চিন্তা করে। খেয়াল রাখতে হবে, কোনো পেশার মানুষ ভোগান্তিতে যেন না পড়ে। আর দেশের সরকারেরও এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।