দুই মির্জা বিএনপিকে টানছেন দুইদিকে!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:০১, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
  • সমাবেশে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেন তারা
  • তাদের অনুসারীরা একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দেন, পুলিশে ধরিয়ে দেন

 

ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে যে অবিশ্বাস শুরু হয়েছিলো, গত ১৬ বছরেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। বর্তমানে দুটি ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে বিএনপি।এদের মাঝে আবার একাধিক গ্রুপিং এ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দলটি,যার মাঝে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস গ্রুপের রেষারেষি এখন প্রবল হয়ে উঠেছে।এমনকি এই রেষারেষির প্রভাব  দলের হাইকমান্ড পর্যন্ত পৌঁছে যায়


গত ৮ আগস্ট নয়াপল্টনের একটি সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব - জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহত্তর সমাবেশের ঘোষণা দেবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল বক্তব্য দেয়ার আগেই মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র বক্তব্য দিয়ে বলেন- ‘রাস্তায় সমাবেশ-টামাবেশ করে হবে না, সরকার পতন করতে হলে হরতাল-অবরোধে যেতে হবে। এতে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন  মির্জা ফখরুল।

পরবর্তীতে স্থায়ী কমিটির সভায় এ নিয়ে তুমুল বাক বিতন্ডায় জড়ান উভয় পক্ষ। সভা শেষে এই দ্বন্দ্বের রেশ পড়েছে তৃণমূলেও। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সরাসরি তারেক বা খালেদার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। বাধ্য হয়ে মির্জা ফখরুল মির্জা আব্বাস বা গয়েশ্বরকে তাদের নেতা মানেন।কিন্তু সিনিয়র নেতাদের রেষারেষির প্রভাব তৃণমূলেও পড়ে, তারাও রেষারেষিতে লিপ্ত হন। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের কাউন্সিল বা পদ-পদবি পাওয়ার সময় হলে একে অপরকে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারও করিয়েছেন। 

এই রেষারেষির জেরে পদত্যাগ করেছেন অনেকে, মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তারেক রহমানের ইশারায়  নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানকে। এছাড়া একই কারণে খুলনার জনপ্রিয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এহসানুল হক মিলনেরও বিএনপিতে বর্তমানে কোনও অবস্থান নেই।’


সাম্প্রতিক সময়ে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এই রেষারেষি আবার চরমে উঠেছে। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারে বিরুদ্ধে অভিযোগ বা নালিশ জানিয়েও  আশানুরুপ কোন সাড়া পাননি বিএনপির নেতারা।কেননা বিভিন্ন কারণে বিএনপির বর্তমান কর্ণধার তারেক রহমানেই আপত্তি রয়েছে বিদেশি কূটনীতিকদের।তারা  বিএনপির নেতা হিসেবে মির্জা ফখরুলকেই পছন্দ করছেন।ফলে সব রেষারেষি ও বিভক্তি গিয়ে ঠেকছে তারেক-ফখরুল নেতৃত্বের  দ্বন্দ্বেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন দেখার বিষয়, বাকি নেতারা কি মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হবেন, নাকি তারেক রহমানের জন্য অপেক্ষা করবেন।

Share This Article


বিএনপিতে ফের ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে তৎপর রিজভী: ক্ষুব্ধ সিনিয়র নেতারা!

যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!