জনবান্ধব ইস্যুতে মাঠে ফোকাস হতে পারছে না বিএনপি: বিশেষজ্ঞ অভিমত

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৫৪, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
  • শুধু নির্দলীয় সরকার ইস্যুতেই অনড় বিএনপি 
  • নির্বাচনে অংশগ্রহণ দ্বন্দ্বে বিএনপি ভাঙনের মুখে 
  • আল্টিমেটাম বা হুমকি ধামকি না দেয়া শ্রেয়

 

বিএনপি শুধু নির্দলীয় সরকার ইস্যুতেই তাদের অবস্থান অনড় রেখেছে। কোনো জনবান্ধব ও জনকল্যাণকর ইস্যুতে তারা মাঠে ফোকাস হতে পারছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ রানা। ২ ডিসেম্বর জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের এক কলামে তিনি এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি বক্তব্য দিচ্ছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে আগামী নির্বাচন থেকে তারা শুধু দূরেই থাকবে না, ওই নির্বাচন বর্জনও করবে। কিন্তু পরিস্থিতি এমনও হতে পারে যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং না নেওয়ার দ্বন্দ্বে বিএনপি ভাঙনের মুখে পড়তে পারে দলটি।

বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যে ধরনের জনমত গড়ে তোলা দরকার সেটি না করে অদূরদর্শী বক্তব্য প্রদানে ব্যস্ত রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে জনগণকে নিজেদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে বিএনপির উচিত নিজস্ব কর্মসূচি ও দলীয় স্বার্থে নানাবিধ এজেন্ডা সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়া, যাতে জনসমর্থন এবং জনমত বিএনপির পক্ষে যায়।

বারবার ভুল সিদ্ধান্তে বিএনপিকে এখন চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। বিএনপির অভ্যন্তরেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। অবস্থা বিচারে বলা যায়, বারবার ব্যর্থতার বেড়াজাল বিএনপিকে গ্রাস করেছে। কারণ দীর্ঘদিন থেকে হুঙ্কার-হুমকি-ধমকি দেওয়ার পরও কোনও কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতার মুখ দেখতে পায়নি বিএনপি। তাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর মধ্যে এখন হতাশা বিরাজ করছে।

একাদশ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ব্যাপক ফল বিপর্যয় হলেও অন্তত সংসদে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ধরেই নিতে হবে ২০১৮ সালের মতো আগামী নির্বাচনও নির্দলীয় সরকারের অধীনে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্দলীয় সরকার ফিরে আসার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।কাজেই বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও নির্বাচন এগিয়ে নিতে সরকারের কোনো বড় ধরনের সমস্যা হবে না বলে অভিমত রাজনৈতিক পর্যবেবেক্ষকদের।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন একটানা ক্ষমতায় থাকায় তাদের প্রতিটি দলীয় ইউনিটে সাংগঠনিক শক্তি মজবুত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজপথে বিএনপি ও তাদের শরিকদের মোকাবেলা করার যথেষ্ট শক্তি আওয়ামী লীগের রয়েছে। ফলে বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলার শক্তিও আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে আছে বলেই ধরে নেয়া যায়। তাই বিএনপির জন্যে এই মুহূর্তে প্রতিপিক্ষকে কোনও আল্টিমেটাম বা হুমকি ধামকি দেয়ার চাইতে জনবান্ধব ইস্যুতে মাঠে ফোকাস হওয়াই বেশি মঙ্গলজনক হবে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article


উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি

পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূসের চালাকিতে ইউনেস্কোর বিস্ময়!

মুজিবনগর সরকারের দক্ষতায় ৯ মাসে হানাদার মুক্ত হয় বাংলাদেশ

সামরিক শাসকের অধীনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইউনূসের মুখে গণতন্ত্র!