অপ্রচলিত মার্কেটে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের চমক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:২৯, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

ভারত, চীন, জাপান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অপ্রচলিত মার্কেটে তৈরি পোশাক রফতানি করে চমক সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে নতুন ১৫টি দেশে ২৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। বিদ্যমান জটিলতাগুলো দ্রুত নিরসন করা হলে এসব দেশে রফতানি আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।

আমেরিকা ও কানাডার পাশাপাশি ইউরোপের অন্তত ২৫টি দেশে তৈরি পোশাক রফতানি করেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে এখন যুক্ত হচ্ছে নতুন ১৫টি অপ্রচলিত দেশ। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা। ধারণা করা হচ্ছে, এ অপ্রচলিত দেশগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দেবে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে অপ্রচলিত বাজারে হিসেবে পরিচিত ১৫টি দেশে ২৪৫ কোটি ডলারের গার্মেন্টস পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় ৫০ কোটি ডলার বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বমন্দার সংকট কাটাতে বিকল্প বাজারের সন্ধানে রয়েছেন দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।

বিজিএমইএ সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে জাপানে ৪৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গার্মেন্টস পণ্য রফতানি হয়েছে। ৩৯৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে ভারতে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে ২৯৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য, দক্ষিণ কোরিয়াতে ১৬৪ মিলিয়ন ডলারের, মেক্সিকোতে ১১৬ মিলিয়ন ডলারের, রাশিয়ায় ৯০ মিলিয়ন ডলারের, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৮৭ মিলিয়ন ডলারের, চীন ও তুরস্কে ৬৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ।

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, রাশিয়া, জাপান ও ভারত হচ্ছে আমাদের নতুন বাজার। আর নতুন বাজারের ধরনও কিন্তু নতুন। এছাড়া ফেব্রিকেশনও নতুন। ফেব্রিকের আবার বিভিন্ন ধরন থাকে। যেমন-পলিস্টার ফেব্রিক। আমরা যখন এটি কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করতে যাই, তখন এটি মাঝেমধ্যে টেস্টের ব্যাপার থাকে।

সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করি, সে সময়ে যদি আমাদের পেমেন্ট দিতে একটু দেরি হয়, তখন তারা আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ পেমেন্ট নিয়ে যান। কিন্তু আমরা যখন রফতানি করি এবং সে সময়ে যদি আমাদের পেমেন্ট আসতে দেরি হয়, তখন কিন্তু আমরা দেশ থেকে সে সুযোগ পাই না। তাই আমাদের সরকারের কাছে অনুরোধ যেন তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটি একটি সুবিধাজনক পন্থায় নিয়ে যায়।

এদিকে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবরে বিভিন্ন দেশে ১৩ হাজার ৯৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গার্মেন্টস পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১২ হাজার ৬২১ মিলিয়ন ডলার। 

Share This Article