নাগরিক টিভিতে ভর করে তথ্য সন্ত্রাস : ফুলে ফেঁপে উঠছেন জ্যাকব মিল্টন!
দীর্ঘদিন দেশের বাইরে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠি,যাদের মাঝে অন্যতম হলো পিনাকী ভট্টাচার্য, কনক সারোয়ার,ইলিয়াস হোসেন ও সাম্প্রতিককালে যুক্ত হওয়া জ্যাকব মিল্টন। সদূর আমেরিকায় বসে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসাধারণকে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন তিনি।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ঠিকাদারি করার সময় দুর্নীতির দায়ে অপসারিত হয়ে পালিয়ে যান এবং বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন এই সাইবার অপরাধী। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি শাখার নেতা। নিউইয়র্কে একটি মর্টগেজ কোম্পানির নামে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রবাসীদের সর্বনাশ করে কয়েক বছর জেলেও ছিলেন।
জানা যায়, আমেরিকা প্রবাসী আরেক তথ্য সন্ত্রাসী সাংবাদিক নামধারী ইলিয়াস হোসেন গ্রেফতার হন জ্যাকব মিল্টনের প্ররোচনায় করা মামলায়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেত্রী নীরা রাব্বাবনীর সাথে মিলে ইলিয়াসকে ফাঁসান তিনি।কথিত আছে, নিউইয়র্কের বাঙালি কমিউনিটিতে নীরা-মিল্টনের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি ইলিয়াস ফাঁস করেন বলেই মিল্টন ইলিয়াসের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কানাডাভিত্তিক নাম সর্বস্ব একটি অনলাইন প্লাটফর্ম ‘নাগরিক টিভি’র মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন এই জ্যাকব মিল্টন। আর তাকে রসদ দিচ্ছেন নাগরিকের দুই পরিচালক নাজমুস সাকিব ও টিটো রহমান। এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করেই তিনি একদিকে দেশের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতা দেখিয়ে যাচ্ছেন,অন্যদিকে ফুলেফেঁপে উঠছেন অবৈধ অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে।
বর্তমানে কানাডা থেকে 'নাগরিক টিভি'র নাজমুস সাকিব এবং টিটো রহমানের সাথে মিলে জ্যাকব মিল্টন ব্ল্যাকমেইলিং এবং চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। এই অপরাধ চক্রের শিকার হয়েছেন দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপও। গ্রুপটি থেকে ৬ লাখ মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলো চক্রটি।
২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে তারা আরেক সাইবার সন্ত্রাসী ইলিয়াস হোসেনকেও আক্রমণ করতে শুরু করেন।সাইবার প্রোপাগান্ডা চালানোর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছিল বলে জানা যায়।
এর আগেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন সময় ফেসবুক ও ইউটিউবে বিতর্কিত এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর একাধিক প্রমাণ রয়েছে এ চক্রটির বিরুদ্ধে। তাদের অপপ্রচার থেকে বাদ যায়নি জাতির জনক,দেশের প্রধানমন্ত্রী, সাবেক ও বর্তমান সেনাপ্রধান, সাবেক পুলিশ প্রধানও।