৩০৮ নারী-কিশোরীকে হত্যা ও ১২ জনকে ধর্ষণ করেছে মিয়ানমার বাহিনী : এনইউসিসি
ন্যাশনাল ইউনিটি কনসালটেটিভ কাউন্সিল (এনইউসিসি) বলেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ২২ মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ৩০৮ জন নারী ও কিশোরীকে হত্যা করেছে। এনইউসিসি হলো সরকারবিরোধী একটি জোট। এনইউসিসির এক বিবৃতে বলা হয়েছে, হত্যার আগে ১২ জন নারী ও কিশোরীকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর জাতিসংঘ ‘সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাক্টিভিসম অ্যাগেইষ্ট জেন্ডার-বেইজড ভায়োলেন্স’ প্রোগ্রাম শুরু করার দুইদিন পর এনইউসিসি এই বিবৃতি দিয়েছে এবং একইসঙ্গে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ দাবি করেছে।
এনইউসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যখনই মিয়ানমারে কোনো সংকট দেখা দেয়, তখনই মিয়ানমার সেনাবাহিনী নারী-শিশুকে ধর্ষণের কৌশল অবলম্বন করে।’ উল্লেখ করার বিষয় হলো, এনইউসিসি জোটে রয়েছে গণপন্থী সংগঠনগুলো ও জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠনগুলো। তারা ঐক্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
এনইউসিসির তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, সেনাবাহিনী দুই হাজার ৩২৭ জনকে হত্যা করেছে। তার মধ্যে ৩০৮ জন নারী ও কিশোরী রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার করেছে ১৬ হাজার ৪৩২ জনকে। এর মধ্যে রয়েছে তিন হাজার ৪৩৪ জন।
এনইউসিসি ১২ ঘটনা পেয়েছে। তাতে দেখা যায় তাদেরকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। আরো ৪০টি ঘটনা পাওয়া যায়, যাতে জানা গেছে নারী-শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার পর প্রমাণ লোপাটে তাদের মৃতদেহ পুড়িয়ে দিয়েছে।
এনইউসিসি বলেছে, সেনাবাহিনী ধর্ষণ, নির্যাতন ও যৌনতাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং তা এখনো অব্যাহত আছে। পাশাপাশি তারা অন্যান্য যুদ্ধাপরাধও চালিয়ে যাচ্ছে।