দূতাবাসে ধর্ণা: বিদেশী কূটনীতিকদের অনধিকার চর্চায় উৎসাহিত করছে!
- বিদেশী দূতাবাসে ধর্ণার অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে
- রাষ্ট্রদূতদের অবস্থান অযাচিত-অনভিপ্রেত
- সারা পৃথিবীতে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতোই বিদেশী দূতাবাসে ধর্ণা দেয়ার অভিযোগ উঠছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপির বিরুদ্ধে। দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল হওয়া সত্বেও বিদেশমুখিতায় রাজনৈতিক অঙ্গণে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে দলটি।
যার প্রেক্ষিতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলছেন। এরই ধারাবাহিকতায় অতিসম্প্রতি ভোট ও মানবাধিকার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের অবস্থানকে অযাচিত-অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, দেশের একটি বড়ো রাজনৈতিক দলের ধর্ণার সুযোগেই বিদেশীরা অনধিকার চর্চার সুযোগ পাচ্ছে। বিদেশী কূটনীতিকদের জেনেভা কনভেনশনকে মেনে চলা উচিৎ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিদেশি কূটনীতিকরা যেন রাজনীতিবিদদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের কার্যকলাপে জাতি উদ্বিগ্ন-শঙ্কিত।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন এলেই আন্তর্জাতিক মাধ্যম থেকে কিছু কথা আসে। সেটি অতীতেও হয়েছে, এবারও হচ্ছে। কিন্তু কোনওভাবেই বিদেশীদের দেশীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। প্রতিটি দেশেরই কিছু নিজস্ব বিষয় থাকে যা সে দেশের জনগণই ঠিক করে।
কূটনীতি সংশ্লিষ্ট বিশেজ্ঞরা বলছেন, ‘সারা পৃথিবীতে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে, বাংলাদেশেও নির্বাচন বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। যেসব দেশে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ করে দিচ্ছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান কিংবা লিবিয়ার দিকে তাকালে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।’