পিনাকী : ভয়ংকর এক তথ্য সন্ত্রাসী
ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য, যিনি সকলের কাছে একজন ভয়ংকর সাইবার বা তথ্য সন্ত্রাসী হিসেবেই পরিচিত। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও মানুষকে বিভ্রান্ত করাই যার প্রধান কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনও ধরনের জবাবদিহিতা না থাকায় ফ্রান্সে বসে বেপরোয়াভাবে প্রতিনিয়ত গুজব, মিথ্যা,ও উস্কানিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছেন তিনি।
পিনাকী ভট্টাচার্য বিদেশের মাটিতে বসে মূলত বাংলাদেশ এবং সরকার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যকে বিকৃতরূপে প্রচার করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের সমর্থনে কন্টেন্ট তৈরী করে তা প্রচার করছেন। জানা যায়, কনক সারোয়ার, জুলকার নাইন সায়ের, ইলিয়াস হোসেন ও ফজল আনসারীদের মতো প্রবাসীদের নিয়ে গঠিত 'প্রবাসী মিডিয়া সেল'র অন্যতম সদস্য তিনি।
পিনাকী মূলত আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কন্টেন্ট তৈরি করলেও ধর্মীয় উষ্কানীমূলক কন্টেন্ট তৈরিতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। গো-হত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে বারবার সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন এই পিনাকী। সনাতন ধর্মের অনুসারী হয়েও নিজ ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি ও সমালোচনা করেন তিনি। এটিও তার একটি কুট কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়কে কাছে টানতেই তার এই কৌশল।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধ আইনের সমালোচনার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় নিয়ে বিদ্রুপ করে আদালত অবমাননাসহ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপন বর্জনের ডাক দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নামে গুজব ছড়িয়ে স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের উসকানি দিয়ে তাদের জীবন হুমকির মুখে ফেলেছিলেন তিনি। বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট ভদ্রবেশি এই সাইবার সন্ত্রাসীর নামে ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে এর পর থেকেই স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যান পিনাকী।
জানা যায়, ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া এই পিনাকী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে ২০১৮ সালেই পালিয়ে যান। যাওয়ার পূর্বে তিনি নিজেই গুম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিলেন।