মাইনাস জিয়া পরিবার, প্রধানমন্ত্রী হতে চান মির্জা ফখরুল!
- দ্বাদশ নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি
- মির্জা ফখরুল হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মাইনাস হচ্ছে জিয়া পরিবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে হিসেবে-নিকেশ। বিএনপির নির্বাচনে আসার ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হলে দলের অভ্যন্তরে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কেন না বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনই আইনের দৃষ্টিতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচনের অযোগ্য হয়েছেন। একজন সাজা ভোগ করছেন এবং আরেকজন দেশের বাইরে পলাতক রয়েছেন।
সূত্রমতে বিষয়টি নিয়ে তাই দলীয় ফোরামে আলোচনা হয় তারেক রহমানের অজান্তেই। জানা যায় শীর্ষ অনেক নেতাই বিকল্প হিসেবে মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে সমর্থন করেন এবং তিনি তাই সম্মতিও জানান।
সম্প্রতি বেসরকারী একটি টেলিভিশনের টক শোতে বিষয়টি আরো পরিষ্কার করেন বিএনপিপন্থি রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমএ আজিজ। তিনি বলেন, বিএনপি জয়ী হলে দলটির সেকেন্ড ইন কমান্ড মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাতে সমস্যা কোথায়?
তার মতে, সংসদীয় গণতন্ত্রে মির্জা ফখরুলের প্রধানমন্ত্রী হতে কোনো সমস্যা নেই, তার সে যোগ্যতাও আছে। কারণ মির্জা ফখরুল দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি একজন শিক্ষিত ও ভদ্র লোক। তিনি যেভাবে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার পক্ষে অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে দেশ চালানোও সম্ভব।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মির্জা ফখরুলকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে প্রস্তাবনাটি এম এ আজিজ দিচ্ছেন মূলত এটি দলের শীর্ষ নেতাদেরই প্রস্তাব। দলের ভেতরে এমন আলোচনা হচ্ছে বলেই টেলিভিশনের টক শোতে প্রকাশ্যে সেই প্রস্তাবনা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি এই বুদ্ধিজীবী।
অন্যদিকে দলের ফখরুল বিরোধীরা বিষয়টিকে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে করছেন। তাদের মতে বিএনপি থেকে জিয়া পরিবারকে মাইনাস করতেই ফখরুলগং নিজেদের স্বার্থে ষড়যন্ত্র করছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা-তারেক জিয়াকে মাইনাস করতে মির্জা ফখরুল যতো অপকৌশলই করুক না কেন তা সফল হবে না। জিয়া পরিবারের বাইরের কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে নেতা-কর্মীরা তাকে কখনোই মেনে নেবেন না।