হুন্ডি বন্ধে যে পদক্ষেপ নিলো সরকার
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত বলা হয় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সকে।কিন্তু এখনো অবৈধ চ্যানেল হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানোর পরিমাণ বেশি হওয়ায় এ পথ বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে ডলার রেট সমন্বয় ও নগদ প্রণোদনা। ডলারের রেট হুন্ডিতে বেশি হওয়ায় মাঝে মাঝে রেট সমন্বয় এবং নগদ আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।ফলে বৈধ চ্যানেলকেই বেছে নিতে আগ্রহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।
একই সাথে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্ভুদ্ধ করতে রেমিটারদের মর্যাদায় সিআইপি সম্মাননা দিচ্ছে সরকার।
এছাড়া রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়নের সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।
এর বাইরে শ্রমিকদের সুবিধা বিবেচনায় দেশের বাইরে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যাংকগুলো নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখা হচ্ছে। ফলে যে কোনও সময় যে কোনও পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। আগে প্রবাসীদের এই ধরনের সুযোগ ছিল না।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেবে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা 'বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট' (বিএফআইইউ)।