ভক্তের বাড়িতে অতিথি হয়ে বউ-টাকা নিয়ে উধাও আধ্যাত্মিক গুরু!

শ্রদ্ধাভরে কথিত আধ্যাত্মিক গুরুকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন এক ভক্ত। সেই বাড়িতে দেড় মাস থাকার পর ভক্তের বউ ও নগদ প্রায় এক লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন সেই ‘আধ্যাত্মিক গুরু’! এমনই ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার টিকুরিয়া গ্রামে।
কথিত আধ্যাত্মিক গুরুর এমন কাণ্ডে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ওই এ্রলাকায়।
জানা গেছে, কথিত ওই আধ্যাত্মিক গুরুর নাম মো. ফকির ফজলুল হক ওরফে খেতা শাহ (৬০)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হীরণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিজের বউ ফিরে পেতে তারাকান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী শফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বাংলানিউজকে এই নিশ্চিত করছেন।
তিনি জানান, ওই আধ্যাত্মিক গুরুকে খুঁজে বের করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিন আগে কথিত আধ্যাত্মিক গুরু খেতা শাহ'র সঙ্গে পরিচয় হয় শফিকুল ইসলামের। এ সময় তার কথাবার্তায় ভক্ত হয়ে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন শফিকুল ইসলাম।
ওই সূত্রে দেড় মাস আগে তারাকান্দা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে আসেন কথিত গুরু খেতা শাহ। সেই থেকে শিষ্যের আদর আপ্যায়নে দিন ভালোই কাটছিল তার (খেতা শাহ)।
কিন্তু গত ২২ জুন ভক্তের বউ তিন সন্তানের জননী মোছা. রাবিয়া খাতুন (৩৩) পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়ায় বাবার বাড়িতে যাবেন বলে গুরু খেতা শাহকে নিয়ে বের হন। সেই থেকে তারা দু’জনেই নিখোঁজ রয়েছেন।
এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তাদের খোঁজ না পেয়ে অবশেষে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী ভক্ত শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে খেতা শাহকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলাম। এখন সে আমার বউ এবং ঘরে থাকা গরু বিক্রির ৯০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে তিন সন্তান নিয়ে আমি খুব বিপদে আছি।