দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যুর ঘটনায় লঞ্চের ৬ কর্মকর্তা গ্রেফতার

গ্রেফতাররা হলেন- লঞ্চের প্রথম মাস্টার মো. সাইদুর রহমান (৩৮), দ্বিতীয় মাস্টার আলামিন (৩৫), ইঞ্জিনচালক মো. মাসুদ রানা (৩৮), ইঞ্জিনচালক ইমন হোসেন (২৩), সুকানি মো. সালমান (২১) ও লঞ্চের সুপারভাইজার ইব্রাহীম খলিল (২৯) ।

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৭ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববদ্যিালয়ের সাবেক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের জিএস দুরন্ত বিপ্লব ঢাকা জেলাধীন কেরানীগঞ্জ থানার কোনাখোলা এলাকা থেকে জিনজিরা-সোয়ারিঘাট হয়ে ঢাকায় আসার পথে নিখোঁজ হন। পাঁচ দিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতে মরদেহটি নিখোঁজ দুরন্ত বিপ্লবের বলে নিশ্চিত করেন তার আত্মীয়-স্বজন। এ নিখোঁজ সংক্রান্তে প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি এবং মৃত্যু সংক্রান্তে পরর্বতীতে নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ডিবি-লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম ঢাকা মহানগরী এবং কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত লঞ্চের ৬ জন চালক এবং টেকনিক্যাল পারসনকে গ্রেফতার করে।

দুরন্ত বিপ্লব তার কর্মচারী হেলালকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে কুরিয়ার সার্ভিসবয় গোলাম রাব্বানীর কাছে কিছু পাট সবজির প্যাকেট হস্তান্তর করে বিকেল ৫টা ৫৫মিনিটে নুর ফিলিং স্টেশনের কাছাকাছি রাস্তায় এক সিএনজি অটোরিকশায় উঠে।

জিনজিরাঘাট ও কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকার নদীর পাড় এলাকাতে ভিকটিম বিপ্লবের সর্বশেষ অবস্থান ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে একটি নৌকায় মাঝ নদীতে আসলে ঢাকা থেকে মাওয়া যাওয়া মর্নিং সান-৫ লঞ্চ তার নৌকাকে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তলিয়ে যায়। যাত্রীরা পানিতে নিমজ্জিত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য নৌকা এসে কয়েকজনকে উদ্ধার করতে পারলেও একজন ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া এ যাত্রীই দুরন্ত বিপ্লব বলে জানা যায়।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।