চলতি মাসেই শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের যাত্রা শুরু

অবশেষে ‘শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ দাপ্তরিক কাঠামো নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ সম্পন্ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। জুলাইয়ের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ সম্পর্কে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট অ্যাক্ট হয়েছিল ২০০১ সালে। সে সময় বিধিমালাও হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দুইবারে ট্রাস্টে ৩০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি সাংগঠনিক কাঠামো পায়নি, কার্যকরও হয়নি। এখন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা অফিস খুলব। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।
শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট কীভাবে পরিচালিত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আমরা একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করেছি। একজন এমডি, দুজন এডি, একজন ম্যানেজার থাকবেন। দুজন সহকারী পরিচালকসহ প্রাথমিকভাবে ১৮ জনের জনবলের একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আপাতত ছোট পরিসরে বাংলা একাডেমির একটি জায়গায় কাযক্রম শুরু করব।
জানা যায়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টকে সাংগঠনিক রূপ দিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। এ বিষয়ে কয়েক দফা মিটিংও হয়। বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড ৭ জুন এক সভার আয়োজন করে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো হলো- ২০০১ সালে প্রণীত ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন’-এর অধীন ‘শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ নামক একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একজন যুগ্ম সচিবকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ প্রদান, যিনি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য-সচিব হিসাবে কাজ করবেন। ট্রাস্টের অস্থায়ী কার্যালয় বাংলা একাডেমিতে চালু করে পরবর্তী সময়ে কপিরাইট অফিসে স্থানান্তর করা হবে।
অফিসের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র মন্ত্রণালয় দেবে। শিল্পকলা একাডেমি হতে একজন সহকারী পরিচালক, একজন কম্পিউটার অপারেটর, একজন অফিস সহায়ক এবং বাংলা একাডেমি থেকে একজন সহকারী পরিচালক, একজন অফিস সহকারী, একজন অফিস সহায়ক, একজন নিরাপত্তা কর্মী ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়ে অস্থায়ী কার্যালয় চালু হবে। প্রধানমন্ত্রী শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টকে যে ২০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন তা তফশিলভুক্ত যে ব্যাংক বেশি মুনাফা দেবে সে ব্যাংকে রাখা হবে।
‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ পরিচালনার জন্য ২০২০ সালের ১৬ মার্চ গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ মৃত্যুবরণ করায় তার স্থলে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আকাম উল্লাহ সদস্য মনোনীত হবেন।
কমিটির সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা এমপি জানান, শিল্পীরা ‘শিল্পী’ হিসাবে জাতীয়ভাবে স্বীকৃত নয়। এ কারণে ব্যাংক লোন নিতে গেলে ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই ‘শিল্পী পেশা’ হিসাবে স্বীকৃতির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।