যে কৌশলে বাড়বে রেমিট্যান্স, কমবে হুন্ডির দৌরাত্ম

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:১৯, শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

অর্থ পাচার রোধকারী সংস্থা বিএফআইইউর সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত ৫ হাজার এজেন্ট অবৈধভাবে বিদেশ থেকে অর্থ আনা ও বিদেশে অর্থ পাঠানোর কাজের সঙ্গে জড়িত। হুন্ডির এই চক্রের কারণে বাংলাদেশ সরকার বছরে প্রায় ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৭৫ হাজার কোটি টাকা প্রবাসী আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলেও তীব্র ডলার সংকট দেখা দিচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন আসছে, কিভাবে অবৈধ হুন্ডির দৌরাত্ম বন্ধ করা যায় এবং একই সাথে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায়।

এ ক্ষেত্রে কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, কৌশলগুলো অবলম্বনের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে বাড়বে রেমিট্যান্স ও কমবে, হুন্ডির দৌরাত্ম।  

 

বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ডলার রেট ১০৭ টাকা, সঙ্গে ২ দশমিক ৫ শতাংশ সরকারি প্রণোদনা। অন্যদিকে হুন্ডিতে ডলার রেট প্রায় ১১৪-১১৫ টাকা। যে কারণে প্রবাসীরা হুন্ডিতেই বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। তাই আগে ডলারের এই পার্থক্যের হার কমাতে ব্যাংগুলোকে পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাহলেই নিঃসন্দেহে বাড়বে রেমিট্যান্স।

দ্বিতীয়ত, টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে এখন যেহেতু মোবাইল ব্যাংকিংটা বেশি জনপ্রিয়, সেহেতু রেমিট্যান্স আনতে ব্যাংকগুলোকে কিছু নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। যেমন, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোকে রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাঠানোর ঝামেলাও দূর হবে। সেই সাথে বন্ধ হবে হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর অন্যতম এ চ্যানেল।  

এছাড়া রেমিট্যান্স বৃদ্ধি করতে বিদেশে রেমিট্যান্স একচেঞ্জ হাউসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো, প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে সচেতনতা তৈরি করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে যেসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ হচ্ছে, সেই পরিধিটা আরও বাড়াতে হবে। প্রচলিত দেশগুলোর বাইরে গিয়ে অন্যান্য দেশের সাথেও সংযোগ হতে হবে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, রেমিটাররা সারা জীবন বিদেশে থাকেন না। এক সময় দেশে ফিরে আসেন। ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠালে দেশে ফিরে সেই টাকা প্রদর্শন করে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে সেই টাকা প্রদর্শন করার সুযোগ পাবেন না। বিনিয়োগ করতে গেলে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। এসব বিষয়ে প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কর্মসূচি নিতে হবে। তাইলেই হুন্ডির দৌরাত্ম কমে গিয়ে নিঃসন্দেহে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়বে বলে জানান তিনি।

Share This Article


১৩ দিনে এলো ৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

রফতানি আয়ে সুবাতাস: সেপ্টেম্বরে এলো ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার

২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডায় রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

আগামীকাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করছে এডিবি

জুলাই থেকে শুরু ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য

কমেছে পেঁয়াজের দাম

বাংলাদেশকে কেন ঋণ দেয়া হয়েছে, জানালেন আইএমএফ' প্রধান

১২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন : উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের সাথে থাকবে বিশ্বব্যাংক!

ঈদে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ হাজার ৬০০ কো‌টি

‘এমভি সোল’ জাহাজে নতুন ইতিহাস গড়ল পায়রা বন্দর

ঈদের আগে ১০ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড