যেভাবে রিজার্ভের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ১০:০২, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ৩০ কার্তিক ১৪২৯

এক বছর আগে দেশে রিজার্ভ ছিল  ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বেশি। গত ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমান কমে দাড়ায় ৩৪.২৬ বিলিয়ন ডলার।

 

জানা যায়, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকটে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও চরম মূল্য দিতে হয়েছে। দ্বিগুনেরও বেশি বেড়েছে আমদানি পণের ব্যয়। তীব্র মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি করোনায় স্থবির হয়ে পড়েছিলো বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য। তাই বাধ্য হয়ে রিজার্ভ থেকে ব্যয় মেটাতে হয়েছিলো সরকারকে।

যদিও রিজার্ভ যেটুকু খরচ হয়েছে সেটা জনগণের স্বার্থে এবং কল্যাণেই খরচ হয়েছে। যেমন জরুরি প্রয়োজনে খাদ্য কেনা, সার, করোনার টিকা, জ্বালানি তেল কেনা প্রভৃতির জন্য ব্যয় করা হয়েছে।

এছাড়া ডলার নিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) গঠন করা হয়েছিল। বাস্তবে রপ্তানিকারকরা স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে রপ্তানিমুখী শিল্প টিকিয়ে রাখতে পেরেছিল। দিন শেষে এই অর্থ আবার রিজার্ভেই জমা হচ্ছিল।

রিজার্ভ থেকে কিছু অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। কারণ অন্য দেশ থেকে লোন নিলে সুদসহ সেই ডলার পরিশোধ করতে হত। কিন্তু রিজার্ভের ডলার খরচ করায় দেশের টাকা দেশেই রয়ে গেছে।

পায়রা বন্দরে রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতেও রিজার্ভ ব্যয় হয়েছিলো। সেখানে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ভাবে কয়লা সরবরাহ করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সিমেন্ট, ক্লিংকার, খাদ্যশস্য, ফ্লাইঅ্যাশ, সার, নির্মাণসামগ্রী ইত্যাদি মালামাল পরিবহনে রাবনাবাদ চ্যানেল অনবদ্য ভূমিকা রাখবে। ফলে এ অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর এভাবেই রিজার্ভের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।

Share This Article