আইএমএফ এর ঋণ প্রদান: কি বার্তা বহন করে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৯:৫৯, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ৩০ কার্তিক ১৪২৯

বিশ্বের সবচেয়ে সহজ ও স্বস্তিদায়ক ঋণ হলো বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ এর ঋণ। সম্প্রতি আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। এই ঋণের মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সুরক্ষা, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, আমদানি ব্যয় মিটানো ইত্যিাদি।  

 

জানা যায়, আইএমএফের দীর্ঘমেয়াদি এই ঋণের জন্য বাংলাদেশকে সুদ দিতে হবে মাত্র ২.২ শতাংশ। এসবের জন্য রাজস্ব বাড়ানো, রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি পরিবর্তন, ভর্তুকি কমানোসহ বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।

স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহের অনেকগুলো প্রস্তাব আগে থেকেই বাস্তবায়ন করে আসছে সরকার। এ অর্থে অনেকটাই ইতিবাচক আইএমএফের ঋণ।

এছাড়া সার্ভিকভাবে এই ঋণ আমদানি ব্যয় মেটানো, বাজেট সহায়তা, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা, কৃষিখাতে সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবহার করলে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে। ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য অর্থায়নের বাধাও দূর হবে। পাশাপাশি তুলনামূলক কম সুদে আইএমএফের ঋণ পাওয়ায় ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হবে। বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো আইএমএফের ঋণ প্রদানে সম্মতি এক ধরনের বার্তা বহন করে। এটি বহুপক্ষীয় অন্য সংস্থাগুলোকে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা সর্ম্পকে আশ্বস্ত করে। কেননা এটি সর্বজন বিদিত যে আইএমএফ তাদের গবেষণা ও চুলচেরা বিশ্লেষনের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধে সক্ষম দেশগুলোকে ঋণ প্রদান করে।

ফলে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো প্রতিষ্ঠানও আমাদের বাজেট সহায়তা দিতে উৎসাহিত হবে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে।এছাড়া বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনেও আইএমএফ এর ঋনের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ্গণ।

Share This Article