মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, বেড়েছে মজুরি !
বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান সমস্যার নাম মূল্যস্ফীতি। ছোট থেকে বড় সব দেশেই এর মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যে কোনো পণ্যে দ্বিগুণেরও বেশি দাম গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সম্প্রতি বলেছেন, এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে দেশে দেশে বিক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।
তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে এই মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে এই মাত্রা আরও কমবে বলেও জানায় বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানায়, পরপর ২ মাস ৯ শতাংশের ওপরে থাকার পর অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাস শেষে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৯ দশমিক ১০ ও আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে।
মূল্যস্ফীতির হিসাব করা হয় চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার মূল্য ধরে। ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির মানে হলো, গত বছর অক্টোবর মাসে যে পণ্য ও সেবা কিনতে ১০০ টাকা ব্যয় হয়েছে, গত মাসে সেটি কিনতে বাড়তি লেগেছে ৯ টাকা। এর আগে গত আগস্টে মূল্যস্ফীতি গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯.৫২ শতাংশে পৌঁছেছিলো।
এদিকে মূল্যস্ফীতির তথ্যের পাশাপাশি প্রতি মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হারের তথ্যও প্রকাশ করেছে বিবিএস। সংস্থাটির হিসাবে, গত অক্টোবর মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। এর মানে, একজন শ্রমিক ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ১০০ টাকা মজুরি পেলে, এ বছর অক্টোবর মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১০৬ টাকা ৯১ পয়সা।
উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতির উপর বিবিএসের তথ্য প্রকাশের সময়, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আগামী মাসগুলিতে মূল্যস্ফীতি আরও কমার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া চলতি মৌসুমে আমন উৎপাদন ভালো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।