রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি মওকুফের সিদ্ধান্তে প্রবাসীদের উল্লাস
রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি দিতে হবে না- এমন খবরে আনন্দিত কুয়েত প্রবাসীরা। এ সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন কুয়েতের বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ হাউজে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা।
অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পরিচালনার জন্য সোমবার (৭ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকগুলো কোনো ধরনের ফি নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (৬ নভেম্বর) সোনালী ব্যাংক ভবনে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এমন উদ্যোগেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কুয়েতে অবস্থানরত বিভিন্ন মানি একচেঞ্জে কর্মরত কর্মকর্তা ও প্রবাসীরা। কুয়েতের বিভিন্ন মানি একচেঞ্জে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে আসা প্রবাসীরা বলেন, দেশে টাকা পাঠাতে যে ফি দিতে হতো, তা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০০ টাকার বেশি।
তবে এখন থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ফি দিতে হবে না শুনে প্রবাসীরা আনন্দিত। দ্রুত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে আশা তাদের।
কুয়েতে আলমোল্লা এক্সচেঞ্জ, কুয়েত বাহারাইন এক্সচেঞ্জ, আল মোজাইনি এক্সচেঞ্জ, আল আমান এক্সচেঞ্জ, ওমান এক্সচেঞ্জ, ইউএই, লূলূ, এশিয়াসহ প্রায় ৩০টির বেশি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ রয়েছে। এক্সচেঞ্জগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করে থাকে।
কে বি এক্সচেঞ্জের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ, আল মোজাইনি এক্সচেঞ্জের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবদুস সালাম, আল মোল্লা এক্সচেঞ্জের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এস আর রহমান তারেকসহ বিভিন্ন এক্সচেঞ্জে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা বলেন, বিভিন্ন কারণে বর্তমানে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। তবে প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি মওকুফের যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে, তা সময়োপযোগী।
এদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি দিতে হবে না-এখন পর্যন্ত এমন কোনো নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন কুয়েতের এক্সচেঞ্জ হাউজ সংশ্লিষ্টরা। তাই ফরেন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কুয়েতে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্তটি দ্রুত কার্যকর করার অনুরোধ প্রবাসীদের।
বাংলাদেশ সরকারের এমন পদক্ষেপ বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমনি প্রবাসীরাও উপকৃত হবেন। পাশাপাশি বৈধ এবং অবৈধ পথে ডলারের হারের পার্থক্যের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে এর ভারসাম্য এবং বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমকে আরও কার্যকরী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।