পদ্মা সেতুতে চলাচলকারী বাসে অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারী প্রতিটি গণপরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হলেও গণপরিবহনগুলো সেটি মানছে না। এ নিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুলিস্তান থেকে মাওনা, পদ্মা, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট, পিরোজপুর, মোংলাসহ দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী বাসগুলোতেও নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায়, এখন পর্যন্ত বিআরটিএর দেওয়া নতুন ভাড়ার তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কাছে পৌঁছেনি। তবে নির্ধারিত ভাড়ায় সন্তুষ্ট নয়। খুব তাড়াতাড়ি পরিবহন মালিকরা মিলে বিআরটিএর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করবে।
মায়ের দোয়া বাসের একজন যাত্রী ঢাকাটাইমসকে বলেন, কী আর বলবো, যে জায়গায় ভাড়া হওয়া উচিত ২০০ টাকা, সেই জায়গায় সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।
যাত্রী আকমল হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি আজ (বুধবার) গুলিস্তান এসে বোকা হয়ে গেছি। মাওনা সব সময় ৮০ টাকা দিয়ে যেতাম। আজ বাসচালকের সহকারীরা বলে মাওয়া যাবে না গাড়ি যাবে পদ্মা হয়ে ভাঙ্গাসহ ওই অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম শহরে। আমি বললাম আমি তো পদ্মা সেতুর আগে নেমে যাবো। চালকের সহকারী কোনোভাবেই মানলো না।
আকমল জানান, পদ্মার আগে বা পরে নামলে ভাড়া নাকি ২৫০ টাকাই দিতে হবে। না হয় যাওয়া যাবে না। গুলিস্তান টার্মিনালে গেলে লোকাল বাসগুলো-ইলিশ, গাঙচিল, ইমাদ পরিবহন, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, দোলা পরিবহনসহ অন্য কোম্পানির গাড়িও বেশি ভাড়া আদায় করছে আমাদের কাছ থেকে।
যাত্রী আশিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, সব কয়টা গণপরিবহন থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, মোংলা, ভাঙ্গাসহ দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী বাসগুলোতে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্তি ভাড়া। আমি প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছি। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আসছি, আবার যাচ্ছি। মানুষের সঙ্গে এক ধরনের অত্যাচার করে বাসচালকের সহকারীরা।
যাত্রী কল্লোল দাশ ঢাকাটাইমসকে বলেন, কেন এই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে তার সঠিক কোনো উত্তর নেই কাউন্টারগুলোতে। প্রশ্ন করলে উত্তর হচ্ছে এই ভাড়ায় গেলে যাবেন, না গেলে যাবেন না। অনেকটা বিপদে পড়ে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করছি।
মায়ের দোয়া ডি.এম সুপার রোড স্টার গণপরিবহন চালকের সহকারী রুহুল আমিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা অতিরিক্ত ভাড়া কখনোই নেইনি। ভাড়া যা তাই নেই। মাওনা গেলে অবশ্যই আমরা ভাঙ্গার ভাড়া নিবো না। মাওনা গেলে মাওনার ভাড়াই নেবো।
প্রভাতি বনশ্রী পরিবহন লিমিটেডের চালক গুলজার হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা যা ভাড়া তা নিচ্ছি। এর চেয়ে বেশি নেওয়া হচ্ছে না।
পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি যতটুকু জানি গণপরিবহনের যাতায়াতের ভাড়া আগের মতো ঠিকঠাক রয়েছে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না।